এই বিষয়ে খুব শিঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে
বলে রাখা প্রয়োজন, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEC) সুশীল চন্দ্রের কার্যকাল আজ শনিবার শেষ হচ্ছে। নয়া দায়িত্বে আসছেন রাজীব কুমার। আর শেষ দিনে এই বিষয়ে সুশীল চন্দ্রকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকদের। সেই উত্তরেই তিনি জানান, এই বিষয়ে খুব শিঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত 'ড্রাফট আবেদন' সরকারকে পাঠানো হয়েছে বলেই খবর। এছাড়াও বেশ কিছু আরও নথি পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। তবে পুরো নথিই এই মুহূর্তে আইনমন্ত্রকের কাছে আছে বলে জানা যাচ্ছে।
দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী সংস্কার
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুশীল চন্দ্র জানিয়েছেন, তাঁর কার্যকালের মেয়াদের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী সংস্কার আনা হয়েছে। যার মধ্যে ১৮ বছর হলেও ভোটার লিস্টে নাম তোলার সময় একদিনের বদলে চার বার করা হবে। আগে ১লা জানুয়ারি একটি তারিখই ছিল। কিন্তু বর্তমানে সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করে বছরে চার বার নাম তোলার জন্যে তারিখ ঘোষণা করা হবে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, আগে ১লা জানুয়ারির পর ১৮ বছর হওয়ার পর যুবকদের ভোট দেওয়ার জন্যে এক বছর অপেক্ষা করতে হতো। এই সংস্থার গত ২০ বছর ধরে পড়ে ছিল বলে দাবি সুশীল চন্দ্রের।
আধারের সঙ্গে যুক্ত করা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার।
অন্যদিকে ভোটার কার্ড (Electoral Roles) আধারের সঙ্গে যুক্ত করা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার। এই সংক্রান্ত নিয়ম কোনও শীঘ্রই জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন সুশীল চন্দ্র। ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করলে আর একাধিক ভোটার তালিকাতে নাম আসবে না ভোটারদের। তবে এই সিদ্ধান্ত একেবারেই ভোটারদের ব্যক্তিগত। তবে সুশীলবাবুর মতে, অনেক ক্ষেত্রেই আধার তৈরি হয়নি হতে পারে। এমনকি আধারের জন্যে অনেক ক্ষেত্রে আবেদনও করা হয়নি। এছাড়াও ভোটারদের সমস্ত রকম তথ্যও অনলাইনে পৌঁছানো যাবে বলে আশাবাদী কমিশন।