ঘটনায় ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর
বহুতল একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। ঘটনার সময়ে সেখানে প্রচুর লোক ছিল বলে জানতে পারা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই বহুতলে একাধিক অফিস ছিল বলেও জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ভয়াবহ এই ঘটনায় ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।
ঘটনার পর থেকে ৬০ থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে
অন্যদিকে সুনীল চৌধুরি, দিল্লি দমকল বিভাগের এই উচ্চপদসস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, আগুন লাগার পরেই ওই বহুতল থেকে বেশ কয়েকজন ঝাঁপিয়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি শুক্রবার বিকেল ৪ টে ৪৫ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে। দিল্লি পুলিশের দাবি, এখনও অনেকে আটকে রয়েছে ওই বহুতলে। রাত ১০ টা পর্যন্তও সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকাজ চলছে তৎপরতার সঙ্গে। তবে ঘটনার পর থেকে ৬০ থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের তরফে।
নিয়ন্ত্রণে নয় বিধ্বংসী আগুন
অন্যদিকে আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। জানালা ভেঙে উদ্ধারকাজ চালানোর চেষ্টা করে। আহতদের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একসঙ্গে ২৪ টি দমকলের ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে। তবে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে নয় বলেই জানা যাচ্ছে। প্রয়োজনে সেনা আধিকারিকদেরও ডাকা হতে পারে বলে ভাবনা সরকারি আধিকারিকদের।
দোতলাতেই আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে
পাশাপাশি উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স। দ্রুত আহতদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই বহুতলে ছিল একাধিক অফিস। দোতলাতেই আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। তবে কি কারণে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই খবর। ওই ফ্লোরে যে অফিস রয়েছে, তাতে সিসিটিভি ক্যামেরা তৈরির কাজ হয়। সংস্থার মালিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ওই বিহুতলে অগ্নি-নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এমনকি সেগুলি কাজ করেছে কিনা তাও জানা যায়নি। আগুন নেভার পর পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর ।
অন্যদিকে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।