পাথরের গায়ে ঘরে ঢোকার দরজা
নাসা সম্প্রতি মহাকাশ থেকে একটি ছবি পেয়েছে, যেখানে এলিয়েনদের ঘরের দরজা দেখতে পেয়েছেন তাঁরা। গত ৭ মে সেই ছবিটি তোলা হয়েছে। নাসার রোভার কিউরিওসিটি যানের মাস্টক্যাম দিয়ে ওই ছবি তোলা হয়েছে। প্রকাশিত সাদা-কালো ছবিটি এক পলক দেখে মনে হবে পাথরের গায়ে ঘরে ঢোকার দরজা। সেখানে কিছু খোদাই করে রাখা হয়েছে।
এলিয়েনদের ঘরের দরজা নাকি অন্যকিছু
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ওটি আসলে এলিয়েনদের ঘরের দরজা। তবে কেউ কেউ মনে করছেন, সেই ভাবনা ভুল। ওটা মঙ্গল গ্রহের মধ্যভাগ। নাসার বিজ্ঞানীরা অবশ্য শেষমেশ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে, এলিয়েনদের ঘরের দরজা বা মঙ্গলের মধ্যভাগ বলে নয়, ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে তা আসলে পাথরের ভাঙা অংশ। মঙ্গলে ভূমিকম্পের জেরে ওই ধরনের দরজার আকৃতি হয়েছে ওই পাথরের।
এলিয়নদের পৃথিবীতে আনার পরিকল্পনা
তবে এলিয়নদের ঘরের দরজা হোক বা না হোক, তা নিয়ে চিন্তা নেই মহাকাশবিজ্ঞানীদের। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এখন এলিয়েনদের আকৃষ্ট করতে চাইছেন। মহাকাশ থেকে তাঁদের খুঁজে পৃথিবীতে আনতে চাইছেন। সেজন্য নাসা বিস্তর ভাবনা-চিন্তা চালাচ্ছে। অনেক ভেবে তাঁরা একটি পন্থাও খুঁজে পেয়েছেন।
এলিয়েনদের আকৃষ্ট করতে মহিলাদের ছবি
নাসা চাইছে, সুন্দরী মহিলাদের ছবি পাঠিয়ে এলিয়েনদের আকৃষ্ট করতে। তা হলে সেই ছবি দেখে সটান মহাকাশে ল্যান্ড করতে পারে এলিয়েনদের মহাকাশ যান। কী ধরনের ছবি পাটিয়ে এলিয়েনদের আকৃষ্ট করা যায়, তা নিয়েও গবেষণা চালাচ্ছে নাসা। ভি্নগ্রহীরা কেমন ছবি দেখলে আকৃষ্ট হতে পারে, সেই ভাবনা থেকে বিবস্ত্র ছবি পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ছবি বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে নাসা।
কেণন ধরনের ছবি পাঠানোর পরিকল্পনা
বিগত দেড় শতাব্দী ধরে অন্য গ্রহের বুদ্ধিমান বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাইছে নাসা। বিজ্ঞানীরা ঠিক করেছেন, কাউকে হ্যালো বলার সময় আমরা যেভাবে হাত নাড়ি, তেমন ভঙ্গিমার কোনও ছবি পাঠানো হবে মহাকাশে। শুধু মহিলা নয়, পুরুষের ছবিও পাঠানো হবে। যাতে সেই ছবি দেখে এলিয়েনরা মনে করে, কেউ তাদের আহ্বান করছে।
নারী ও পুরুষের বিবস্ত্র ছবি মহাকাশে
নাসা ভিনগ্রাহীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তার নামে 'বিকন ইন দ্য গ্যালাক্সি'। এই প্রকল্পের আওতায় নারী ও পুরুষের বিবস্ত্র ছবি মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্যণ শক্তি ও মানবদেহের ডিএনএ-র ছবিও পাঠানো হচ্ছে। যাতে ভিনগ্রহীরা পৃথিবীর বাসিন্দা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা তৈরি করতে পারে।
সাংকেতিক বার্তা ভিনগ্রহীদের আহ্বান
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, তাঁদের এই সাংকেতিক বার্তা ভিনগ্রহীরা বুঝতে পারবেন। মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকলে, তারা এই বাইনারি পদ্ধতি বুঝতে পারবেন এবং সাড়া দেবেন পৃথিবীর ডাকে। এবারই প্রথম নয়, ১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালের পায়োনিয়ার-১০ ও পায়োনিয়ার-১১ অভিযানেও বিবস্ত্র মানুষের ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল। আশ করা হচ্ছে এবার তাঁদের অভিযান সফল হবে।