কী বলেছেন শাহজাহানের বংশধর
প্রিন্স ইয়াকুব হাবিবুদ্দিন টুসি, যিনি নিজেকে মুঘলদের বংশধর বলে দাবি করেন, তাজমহলের জমির মালিকানা নিয়ে বিজেপি সাংসদ দিয়া কুমারীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন টুইটারে। যেখানে টুসি বলেছেন,
যদি দিয়ার গায়ে এক ফোঁটা রাজপুত রক্ত থাকে তবে তাঁকে তাঁর দাবি মতো নথিগুলি দেখাতে হবে। তিনি দিয়ার দাবিকে একটি 'মূর্খ পদক্ষেপ' বলেও তোপ দেগেছেন৷
জামাইদের জায়গা উপহার দিতেন রাজপুতরা!
ভিডিওতে হাবিবুদ্দিন টুসি আরও বলেছেন, যে শাহজাহানের রাজপুত বংশে মামা ছিলেন। আবার শাহজাহানের দ্বিতীয় স্ত্রী লাল বাই একজন রাজপুত ছিলেন। আকবরের স্ত্রী এবং শাহজাহানের দাদী যোধা বাই ওরফে হরকা বাই রাজপুত ছিলেন। জমি উপহার দেওয়ার রাজপুতদের একটি সৌজন্য৷ রাজপুতদের তরফ থেকে মুঘলদের জমি উপহার দেওয়ার প্রথার বিস্তারিত বর্ণনাও করেছেন টুসি৷ তিনি আরও বলেছেন জামাইদের বিভিন্ন জায়গা উপহার দেওয়ার প্রথা রয়েছে৷ মুঘল সম্রাটরা রাজপুত মেয়েদের বিয়ে করে অনেক সময় জমি উপহার পেয়েছে৷ তাই দিয়া কুমারীর জমি দখলের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন'।
মুঘল সম্রাটদের ২৭ জন স্ত্রীর ১৪ জন রাজপুত ছিলেন!
হাবিবুদ্দিন টুসির আরও দাবি যে আকবর রাজত্ব শুরু করে মুঘলদের সঙ্গে মিত্রতা করেছিল৷ তিনি বলেন, আমার ২৭ জন দাদীর মধ্যে ১৪ জন ছিলেন রাজপুত। এরপর টুসি দিয়ার দাবিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন,' যদি আপনার (দিয়ার) পোথিখানায় নথিপত্র রাখা থাকে তাহলে দেখান। আপনার মধ্যে যদি এক ফোঁটা রাজপুত রক্ত থাকে, তাহলে সেই নথিগুলো দেখান৷ '
ঠিক কী বলেছিলেন দিয়া?
বৃহস্পতিবার দিয়া ( যিনি জয়পুরের রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত) সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, তাজমহল যে জমিতে নির্মিত হয়েছে তা জয়পুর রাজ পরিবারের। এবং তিনি বলেছিলেন প্রয়োজনে এর সপক্ষে দলিলও প্রকাশ্যে আনতে পারেন তিনি৷ মার্বেল স্মৃতিস্তম্ভের ২২টি দরজা খোলার আবেদনকে সমর্থন করে তিনি বলেছিলেন, স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের আগে কী ছিল তা তদন্ত করা উচিত। হিন্দিতে তিনি বলেন 'মাকবারার' আগে আসলে ওখানে কী ছিল তা জানার অধিকার দেশের মানুষের রয়েছে৷