বহু বছর ধরে দাউদ ইব্রাহিম ভারত ছাড়া হলেও দেশে 'ডি কোম্পানি’ যে রমরমিয়ে চলছে তার প্রমাণ প্রায়দিনই পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবারই এনআইএ মুম্বইয়ের পশ্চিম শহরতলি থেকে গ্যাংস্টার ছোটা শাকিলের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। এরা বেআইনি কার্যকলাপ ও দাউদ ইব্রাহিম দ্বারা পরিচালিত অপরাধ সিন্ডিকেটে আর্থিক মদতের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তরা হল আরিফ আবুবকর শেখ (৫৯) ও সাব্বির আবুবকর শেখ (৫১)।
এই দু’জনকে জেরা করার সময় উঠে এসেছে যে আরিফ ও সাব্বিরের সঙ্গে ছোটা শাকিলের বেশ কিছু অর্থ লেনদেন হয়েছে, যার জন্য তাদের গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, পাকিস্তান থেকে ছোটা শাকিল আন্তর্জাতিক অপরাধচক্র চালিয়ে যাচ্ছে এবং রেড কর্নার নোটিস জারি হয়েছে তার বিরুদ্ধে। শাকিল দুর্নীতি, মাদক পাচার ও সন্ত্রাসী ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত। এখানে উল্লেখ্য, জাতীয় তদন্তকারী দল দাউদের গ্যাংকে ধরতে উঠেপড়ে লেগেছে। বিগত কয়েক মাস ধরে মুম্বইয়ের বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ। চলতি মাসের গোড়াতেই ২০ টি জায়গায় তল্লাশি চালায় এনআইএ।
মুসলিম প্রতিনিধি দলের আবেদন শুনলেও, জ্ঞানব্যাপীর ভিডিওগ্রাফিতে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট
১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় দাউদ। তারপর পাকিস্তান থেকেই মুম্বইয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের রাশ ধরে সে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমেই অন্ধকার জগতের একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়েছে দাউদ। দাউদ, শাকিল সহ একাধিক ডি কোম্পানির সহযোগীদের ধরতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে ভারত। কারণ পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া দাউদের খোঁজ দিতে নারাজ ভারতের প্রতিবেশী দেশ।