কী ঘটেছে ঘটনা?
২০১০-১১ সালে জম্মু-কাশ্মীরে ফেরৎ আসা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য বিশেষ কর্মসংস্থান প্যাকেজের অধীনে কেরানির চাকরি পেয়েছিলেন রাহুল। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও যেটি কাশ্মীর উপত্যকার বুদগামের বলে দাবি করা হয়েছে! (যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ওয়ানইন্ডিয়া বাংলা) ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে রাহুল ভাটের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো জনতার উপর লাঠিচার্জ করছে কাশ্মীরি পুলিশ৷ শুক্রবার স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে! জম্মু-কাশ্মীরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুদগামের বিমানবন্দর সড়কের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিতে তাদের উপর টিয়ার গ্যাসের শেলও ছুড়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে৷
রাহুল ভাটের হত্যার বিরোধিতা করে কী বলছেন সহকর্মীরা?
অমিত নামের একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এলজি প্রশাসনের উচিত আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া, অন্যথায় আমরা আমাদের নিজ নিজ পদ থেকে গণ পদত্যাগ করব! আরেক বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, প্রশাসন জনগণকে লাঠিচার্জ করতে ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে পারে, কিন্তু তাহলে কি গতকাল সন্ত্রাসীদের ধরতে পারত না?
কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যা নিয়ে কী বললেন প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি?
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি বলেছেন যে তিনি কাশ্মীরি পন্ডিতদের সমবেদনা প্রকাশ করতে বুদগাম যেতে চান। তবে, তাঁকে গৃহবন্দী করার পর থেকে তিনি কোথাও যেতাে পারেননি। মুফতি আরও দাবি করেছেন, কাশ্মীরি মুসলমান এবং পণ্ডিতরা একে অপরের বেদনা নিয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করে। তাই তাদের গৃহবন্দী করা হয়েছে। একটি টুইটে এই বক্তব্য রেখেছেন মেহবুবা মুফতি।
হত্যার দায় স্বীকার করল কাশ্মীরের একটি জঙ্গি সংগঠন!
প্রসঙ্গত, বুদগামের রাজস্ব বিভাগের একজন কর্মচারী রাহুল ভাটকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। তাঁকে দ্রুত শ্রীনগরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। 'কাশ্মীর টাইগার্স' নামের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।