সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে কেরল বনাম বাংলা:
নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ১-১ থাকার পর বাংলা দলকে টাই ব্রেকারে ৫-৪ গোলে পরাজিত করে ফের ঐতিহ্যশালী সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কেরল। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কলকাতায় আয়োজিত হয়েছিল সন্তোষ ট্রফির মূল পর্ব। সেই বছরও বাংলাকে হারিয়ে সল্টলেক স্টেডিয়ামে ঐতিহ্যশালী সন্তোষ ট্রফি জিতেছিল কেরল।
সিদ্ধান্ত গ্রহণ:
শুক্রবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বে একটি ক্যাবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে সন্তোষ ট্রফি জয়ী কেরল দলকে ১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্য প্রদান করবে সরকার। সন্তোষ ট্রফি জয়ী কেরল দলের ২০ জন ফুটবলারকে দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকা করে এবং প্রধান প্রশিক্ষকেও সম্মানিত করা হবে পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্য দিয়ে। এছাড়া দলের বাকি সাপোর্ট স্টাফ (সহকারী কোচ, ম্যানেজার এবং গোলরক্ষক প্রশিক্ষক) পাবেন তিন লক্ষ টাকা করে।
পিনাই বিজয়নের ঘোষণা:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ২৯ বছর পর নিজেদের রাজ্যে কেরলের সন্তোষ ট্রফি জয়, গোটা রাজ্যে খেলাধূলার পরিবেশকে নতুন অক্সিজেন দিয়েছে। তিনি বলেছেন, "কেরলের এই সাফল্য তরুণ প্রজন্মের কাছে খেলাধূলোর সার্কিটে পা রাখার ক্ষেত্রে একটা বড় মোটিভেশন হিসেবে কাজ করবে।" টুইটারে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন লিখেছেন, "৭৫তম সন্তোষ ট্রফি জয়ী কেরল ফুটবল দলের সম্মানে, কেরলের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোটা দলকে ১.১৪ কোটি টাকার পুরস্কার মূল্য দেওয়া হবে। যার মধ্যে ২০ জন ফুটবলার এবং প্রধান কোচকে দেওয়া হবে পাঁচ কোটি টাকা করে এবং সহকারী কোচ, ম্যানেজার এবং গোলরক্ষক প্রশিক্ষককে দেওয়া হবে তিন কোটি টাকা করে। কেরলকে গর্বিত করতে থাকো।"
ব্যক্তিগত পুরস্কার:
সন্তোষ ট্রফি জয়ী কেরল দলের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ ছিলেন টিকে জেসিন। এই কেরালাইট গোলমেশিনকে পাওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছে আইএসএল-এর ক্লাব এটিকে মোহনবাগান। এছাড়াও একাধিক আইএসএল ক্লাবের নজরে রয়েছেন জেসিন। সদ্য সমাপ্ত সন্তোষ ট্রফির সর্বোচ্চ গোলদাতাও। তিনি। টুর্নামেন্টের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন কেরলের জিজো জোসেফ। এই নিয়ে সপ্তমবার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল কেরল দল।