পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে হেরে প্লে-অফে পৌঁছনোর সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। পাঞ্জাব কিংসের দেওয়া ২১০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে তারকাখচিত আরসিবির ইনিংস থমকে গেল ১৫৫/৯ রানে। এ দিন পাঞ্জাবের জয়ের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে লিয়াম লিভিংস্টোন (৭০) এবং জনি বেয়ারস্ট্রোর (৬৬)।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টসে জিতে বোলিং-এর্ সিদ্ধান্ত নেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়র ফাফ ডু প্লেসিস। প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগ দারুণ ভাবে কাজে লাগান জনি বেয়ারট্রো ২৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন জনি। শিখর ধাওয়ান করেন ২১ রান। বেয়ারস্ট্রোর দাপটে পাওয়ার প্লে-তে ৮৩ রান ওঠে পাঞ্জাবের। এই ব্রিটিশ ক্রিকেটার আউট হওয়ার পর পাঞ্জাবের ব্যাটিং-এর হাল ধরেন অপর ব্রিটিশ তারকা লিয়াম লিভিংস্টোন। ৪২ বলে ৭০ রানে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন লিভিংস্টোন। মূল এই দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের দাপটেই ২০৯ রান তোলে পাঞ্জাব। এছাড়া পাঞ্জাবের জীতেশ শর্মা (৯), ঋষি ধাওয়ান (৭), হরপ্রীত ব্রার (৭) ছোট ছোট ইনিংস খেলে দলের রান বাড়িয়েছেন।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অন্য বোলাররা যখন পাঞ্জাবের দুই ব্রিটিশ ব্যাটসম্যানের সামনে কূল-কিনারা পাননি তখন একাই চার উইকেট নিয়েছেন হর্ষল প্যাটেল। দু'টি উইকেট পেয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং একটি করে উইকেট পেয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং শাহবাজ আহমেদ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আরসিবি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে তারা হারায় তিন উইকেট। প্রত্যাশা মতো এ দিনও ব্যর্থ হয়েছেন বিরাট কোহলি ২০ (১৪)। ফাফ ডু প্লেসিস করেছেন ১০ (৮) রান। বাগিচা শহরের দলের হয়ে সর্বাধিক ৩৫ রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৩৫)। কিছুটা ভরসার আশ্বাস দেওয়া রজত পাতিদার করেছেন ২৬ (১১)। ফর্মে থাকা দীনেশ কার্তিক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে ভরসা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ১১ বলে ১১ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
পাঞ্জাব কিংসের হয়ে এই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন কাগিসো রাবাডা। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচ করে ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন তিনি। ঋষি ধাওয়ান এবং রাহুল চাহার পেয়েছেন দু'টি করে উইকেট। একটি করে শিকার হরপ্রীচ ব্রার এবং অর্শদীপ সিং-এর।
এই ম্যাচ হারের ফলে জোর ধাক্কা খেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্লে-অফে পৌঁছনোর সম্ভাবনা। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে হারের ফলে আরসিবির পয়েন্ট দাঁড়াল ১৩ ম্যাচে ১৪। অপর দিকে, অতি প্রয়োজনীয় এই জয় পাওয়ার ফলে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হল পাঞ্জাব কিংসের।