রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর তারপরই তিনি তলব করলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের। রাজ্যের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কেন তিনি বৈঠকে ডাকলেন তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে শিক্ষামহলে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে আলোচনার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে এদিন রাজভবনে তলব করেন রাজ্যপাল। তাঁর ডাকে সাড়া গিয়ে শুক্রবার রাজভবনে যান ব্রাত্য। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় ব্রাত্য বসুর। ভিডিও টুইট করে সে কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী স্বয়ং। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় দুজনের।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না বলেও আক্ষেপ ঝরে পড়ে তাঁর গলায়। এমনকী তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে উপাচার্যরা এড়িয়ে চলেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যকে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল দেখে আমার রাতে ঘুম আসে না।
তাঁর কথায়, উপাচার্যরা ইউনিয়ন করতেই ব্যস্ত থাকেন। শিক্ষার মান তাই পড়ে চলেছে। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন এসব করলে কোনওমতেই রেয়াত করা হবে না। উপাচার্যের কমিটি তৈরি করেছি। এসব করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর সেই অসন্তোষ প্রকাশের পর এই প্রথম রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন রাজভবনে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষা নীতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে উপাচার্যরা যে তাঁকে এড়িয়ে চলেন, তা শিক্ষামন্ত্রীকে জানান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সেই অভিযোগ পর উপাচার্যদের তলব করেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই নিরীখে এদিনের বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর উপাচার্যদের বৈঠক করবেন শিক্ষামন্ত্রী। আগামী ১৯ মে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন তিনি। বৈঠকে রাজ্যের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সশীরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ওই বৈঠকে আর কী আলোচনা হয় এখন তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপালের বৈঠকের পর উপাচার্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয় কি না, সেটাও দেখার।
দোষীসাব্যস্ত কুণাল, কিন্তু শাস্তি দেবে না আদালত! আত্মহত্যা মামলায় চমকপ্রদ রায়
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের নানা বিষযে সংঘাত লেগেই রয়েছে। সেই আবহে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তারপর রাজ্যপালের সঙ্গে উপাচার্যদের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বিশেষ ভূমিকা নেবেন বলেও আশাবাদী রাজনৈতিক মহল।