মোদীকে নিশানা সোনিয়ার
রাজস্থানের বসেছে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির। ৩ দিন ধরে চলবে চিন্তন শিবির। রাজস্থানের উদয়পুরে এই চিন্তন শিবিরে যোগ দিয়েছেন তাবর কংগ্রেস নেতারা। রাহুল গান্ধী থেকে সোনিয়া গান্ধী সকলেই রয়েছেন সেখানে। সেই চিন্তুন শিবিরের প্রথম দিনেই দলকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার আগেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছেন সোনিয়া গান্ধী। তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেছেন, গোটা দেশে মানুষ ভয়ে-আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সংখ্যালঘুদের। তাঁদের উপর অত্যাচারের পরিমাণ ভয়ঙ্কর পর্যায়ে বেড়ে গিয়েছে। সরকার কাজের থেকে বেশি বিভাজন আর হিংসার রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন সোিনয়া গান্ধী।
আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা
মোদীর শাসনে সবচেয়ে বেশি আক্রমণের শিকার হয়েছেন সংখ্যালঘুরা। রাজস্থানের উদয়পুরে বসেই এই বার্তা দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেছেন এই সরকারের স্লোগান হয়ে দাঁড়িয়েছে হিংসার রাজনীতি বেশি, সরকারের কাজ কম। বিভাজনের রাজনীতি করছে মোদী সরকার। দেশের সর্বত্র মেরুকরণের রাজনীতি চলছে। আর তাতে সবচেয়ে বেশি আক্রমণের শিকার হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইদের দিন থেকেই রাজস্থানের যোধপুর উত্তাল হয়ে উঠেছিল সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে। ৩ দিন কার্ফু জারি করতে হয়েছিল গেহলট সরকারকে। কয়েকদিন আগে এক হিন্দু যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজস্থানের ভিলওয়াড়ায়।
কংগ্রেসের চিন্তন শিবির
রাজস্থানের উদয়পুরে ৩ দিনের চিন্তন শিবিরের আয়োজন করেছে কংগ্রেস। সেখানে সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধী সহ দলের একাধিক প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত রয়েছে। কীভাবে দলের হাল ফেরানো যায় তাই নিয়েই মূলত আলোচনা হওয়ার কথা। সেই সঙ্গে দলকে নতুন করে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে কীভাবে কাজ করা হবে সেকথা আলোচনা হবে। ২০২২-র ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বড ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। পাঞ্জাব হাতছাড়া হয়েছে। বাকি চার রাজ্যে প্রায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে দল। সেকারণেই আর বেশি করে দলের অন্দরে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
২০২৪-টার্গেট
একদিকে ২০২৮-র লোকসভা ভোট তার আগে আবার ২০২৩-এ রাজস্থান এবং গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। রাজস্থানে সরকারে কংগ্রেস থাকলেও সেটা কতদিন টিকিয়ে রাখতে পারবে সেটা বড় প্রশ্নের ।কারণ গেহলট বনাম সচিন পাইলটের বিদাদে জর্জরিত রাজস্থানের কংগ্রেস শিবির। একদল তরুণ নেতৃত্বের হয়ে ভোটে লড়তে চাইছে আরেক দল প্রবীণ অভিজ্ঞদের সামনে রেখে লড়াইয়েব বার্তা দিয়েছ। তারমধ্যে আবার গান্ধী মুক্ত নেতৃত্ব নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। এই বহুমুখী মতামতের মধ্যে কোন পথে এগোবে কংগ্রেস সেটাই এখন দেখার।