বড় সমস্যায় পড়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এমনিতেই আচমকা সিজন শুরুর শেষ মুহূর্তে দায়িত্ব পান রবীন্দ্র জাদেজা। দায়িত্ব এবং চাপ সামলাতে পারছিলেন না তিনি। নিজের পারফরম্যান্স সহ দল ম্যাচের পর ম্যাচ হেরেই যাচ্ছিল। তাই অনেক আগেই তাঁদের প্লে-অফে যাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে যায়।
এখন শেষ তিন ম্যাচ জিতলেও নয় নম্বরে থাকা চেন্নাইয়ের শেষ চারে পৌঁছানো কার্যত সম্ভব নয়। এসবের মাঝে আবার জাদেজাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ফের দায়িত্ব দেওয়া হয় ধোনির হাতে। তিনি আসতেই শেষ তিন ম্যাচের দুটো জিতেছে চেন্নাই। এবার তারপরেই জাদেজা চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে সরে গেলেন।
সাধারণ চোখে এটা চোট মনে হলেও গল্প অন্যরকম শোনা যাচ্ছে। জাদেজা নাকি এই অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি। চোট লেগেছে তার হৃদয়ে। তাই তিনি নাকি এসব চোট বলে সরে দাঁড়িয়েছেন। এসবে নাকি ক্ষুব্ধ চেন্নাই ম্যানেজমেন্টও। তাঁরা জাদেজাকে ইন্সটাগ্রামে আনফলো করে দিয়েছে। আর এতেই জল্পনা আরও বেড়েছে। কী চলছে হলুদ ব্রিগেডের অন্দরে ?
এই মরসুমে ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ঘটে যাওয়া পুরো অধিনায়কত্বের গল্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাদেজা এবং সিএসকে-র মধ্যে বিবাদের গুজবও ভাসছে। সূত্রের খবর বলছে যে অলরাউন্ডার অধিনায়ক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া নিয়ে খুশি নন। যখন সিএসকে সিইও কাসি বিশ্বনাথনকে একই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি কথাটি উড়িয়ে দিয়েছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যে জাদেজা এই মরসুমের পরেও ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে থাকবেন।
তিনি বলেন , "সোশ্যাল মিডিয়া, আমি একেবারেই কিছু ফলো করি না। সেখানে কী হচ্ছে সে সম্পর্কে আমার কোনও জ্ঞান নেই। আমি আপনাকে যা বলতে পারি তা হ'ল পরিচালনার দিক থেকে, কোনও সমস্যা হয়নি এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে যা আছে, আমি সচেতন নই। জাদেজা ভবিষ্যতের জন্য সিএসকে-এর পরিকল্পনায় দৃঢ়ভাবে রয়ে গিয়েছে।"।
কাসি বলেছেন যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে পাঁজরে চোট পাওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে খেলোয়াড়কে মরসুম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, "আরসিবির বিরুদ্ধে খেলার সময় জাড্ডু চোট পেয়েছিলেন এবং তারপরে তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খেলাটি খেলেননি। চিকিত্সকের পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে তিনি এই আইপিএলে আর অংশ নিতে পারবেন না এবং তিনি দেশে ফিরে যাচ্ছেন। তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে,"
জাদেজা না থাকলে সিএসকে-এর প্লে-অফ যোগ্যতার সম্ভাবনা আরও বেশি আঘাত হানবে। ইয়েলো আর্মি বর্তমানে নবম স্থানে অবস্থান করছে এবং এমনকি বাকি তিনটি খেলায় জয়ও তাদের প্লে-অফের যাওয়ার রাস্তা সহজ করবে না। তবে অনেকটা একইভাবে সমস্যা শুরু হয়েছিল সুরেশ রায়নার সঙ্গেও। ২০২০ সালের আইপিএলে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রায়না সিএসকে ছেড়ে চলে যান। তখন চেন্নাই কর্তৃপক্ষ ক্ষুব্ধ ছিল। পরের সিজনে তিনি ফেরেন। তবে সিজনের শেষের দিকে চেন্নাইয়ের চিন্না থালাকে খেলানওই হয়নি। আর এই আইপিএলে তাঁকে নেয়নি চেন্নাই। জাদেজার সঙ্গে এমন কিছু হবে না তো। সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে বাতাসে।