চেন্নাই ৯৭
টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রথম ওভারেই দুটি উইকেট হারায় চেন্নাই সুপার কিংস। পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে সিএসকের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৩২। অবশেষে ১৬ ওভারে ৯৭ রানে শেষ হয়ে যায় ধোনির দলের ইনিংস। চারটি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৩৩ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন মাহি। পাশাপাশি ডোয়েইন ব্র্যাভোর ১২ এবং অম্বাতি রায়ুডু ও শিবম দুবের ১০ রান ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের রান পাননি। ড্যানিয়েল স্যামস চার ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট দখল করেন। কুমার কার্তিকেয় তিন ওভারে ২২ ও রাইলে মেয়ারডিথ ৩ ওভারে ২৭ রানে নেন ২টি করে উইকেট। জসপ্রীত বুমরাহর ৩ ওভারে ১টি মেডেন, ১২ রানের বিনিময়ে তিনি ১টি উইকেট নেন। রামনদীপ সিং ১ ওভারে ৫ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।
জোর লড়াই
জবাবে খেলতে নেমে পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে চারটি উইকেট হারায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ঈশান কিষাণ দলের ৬ রানের মাথায় আউট হন। পাঁচ বলে ছয় রান করে তিনি মুকেশ চৌধুরীর বলে কট বিহাইন্ড হন। এরপর ৮ বলের ব্যবধানে পড়ে তিনটি উইকেট। ৩.৩ ওভারে দলের ৩০ রানের মাথায় রোহিত শর্মা সিমরজিৎ সিংয়ের বলে কট বিহাইন্ড হন। ১৪ বলে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি হিটম্যান। এরপর পঞ্চম ওভারে আরও দুটি উইকেট তুলে নেন মুকেশ চৌধুরী।
দায়িত্বশীল তিলক
পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ড্যানিয়েল স্যামস ৬ বলে ১ রানে লেগ বিফোর হন। দুই বল পর ফের লেগ বিফোর হন ট্রিস্টান স্টাবস। কায়রন পোলার্ডের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার স্টাবস অভিষেক ম্যাচে ফিরলেন শূন্য রানেই। যদিও এরপর হৃতিক শোকিনকে নিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান তিলক বর্মা। ৮১ রানের মাথায় আউট হন শোকিন। ২৩ বলে ১৮ রান করে তিনি মঈন আলির বলে বোল্ড হন। ১২.৪ ওভারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পঞ্চম উইকেটটি যখন পড়ে তখন রোহিতদের জিততে দরকার ১৭ রান।
|
স্বস্তির জয়
৩১ বল বাকি থাকতেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় তিলক বর্মা ও টিম ডেভিডের জুটি। ডেভিড ছক্কা মেরে দলকে জেতান। তিনি দুটি ছয়ের সাহায্য়ে ৭বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তিলক ৩২ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি চারটি চার মেরেছেন। চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন মুকেশ চৌধুরী। সিমরজিৎ সিং ৪ ওভারে ২২ রানে ১টি উইকেট নেন। মঈন আলি ১.৫ ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে নেন ১টি উইকেট। ম্যাচের সেরা ড্যানিয়েল স্যামস।
ধোনির মুখে বোলারদের প্রশংসা
খেতাব দখলে রাখার স্বপ্নভঙ্গের পর ধোনি বলেন, উইকেট যেমনই হোক না কেন ১৩০ রানের পুঁজি না থাকলে কাজ কঠিন হয়ে যায়। বোলারদের বলেছিলাম, ম্যাচের ফলের কথা চিন্তা না করে নিজেদের চরিত্র মেলে ধরে বিপক্ষকে চাপে ফেলতে। দুই তরুণ জোরে বোলারই ভালো বল করেছেন। এ ধরনের ম্যাচ তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পক্ষে উপযোগী। আগামী বছর আরও দুই জোরে বোলারের উপস্থিতিতে দলের শক্তি বাড়বে বলেও জানিয়ে রাখলেন সিএসকে অধিনায়ক। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলিংয়ের প্রশংসা করেন ধোনি। তাঁর আশা, এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে দল।