কী বলছে ল্যানসেট?
সম্প্রতি প্রকাশিত ল্যানসেট রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও তারপর করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসা লোকেদের অন্তত অর্ধেকের শরীরে করোনার একটি উপসর্গের রয়েছে৷ দ্য ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালের একটি ফলো-আপ গবেষণায় বলা হয়েছে, 'রোগের প্রাথমিক তীব্রতা নির্বিশেষে, কোভিড-১৯ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে, বেশিরভাগই দুই বছরের মধ্যে তাদের কাজে ফিরে গিয়েছেন! তবে লক্ষণীয় যে কোভিডের কবল থেকে বেঁচে যাওয়া লোকদের দু'বছরে মধ্যে বিভিন্ন অসুস্থতার মুখোমুখি হতে হয়েছে৷ এমনকি তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ ব্যক্তিদের শরীরে করোনার যে কোনও একটি উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছে!'
কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি অসুস্থ হয়েছেন!
ল্যানসেটের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিড-১৯ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দু'বছরে সাধারণ জনসংখ্যার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ রয়েছে। ল্যানসেটের এই গবেষণার ফলাফলগুলি ইঙ্গিত করেছে যে লম্বা সময়ে কোভিডের সংক্রমণ (লং-কোভিড) ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে! ল্যনসেটে তরফে বলা হয়েছে, 'ভবিষ্যত গবেষণায় দীর্ঘ কোভিডের প্যাথোজেনেসিস নিয়ে আরও ভালোভাবে খোঁজ করা উচিত এবং দীর্ঘকালীন কোভিডের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর কৌশল তৈরি করা উচিত,
কী কী সমস্যা রয়েছে কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের?
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে কোভিড সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া চারজনের মধ্যে একজন রোগী এক বছর পরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে কোভিডজয়ী যাদের মধ্যে এখনও সমস্যা রয়েছে তাদের সবচেয়ে সাধারন উপসর্গ হল ক্লান্তি, পেশীতে ব্যথা, শারীরিকভাবে চটপটে ভাব হারানো, খারাপ ঘুম এবং শ্বাসকষ্ট। লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাচেল ইভান্স বলেছেন, তাঁদের এই গবেষণায়, কোভিডজয়ীদের মানসিক স্বাস্থ্য, ব্যায়ামের ক্ষমতা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দুর্বলতা এবং জীবনযাত্রার মান নিয়ে গত পাঁচ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে!