মঙ্গলবার রাতে সীমান্তে হামলা
মঙ্গলবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের কাছে প্রহরারত অবস্থায় ছিলেন এক মহিলা কনস্টেবল। অভিযোগ সেই সময়ে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে ইনসাস রাইফেল এবং ২০ রাউন্ড গুলি ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ১৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের এক মহিলা কনস্টেবল ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের কাছে টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময় ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারীরা মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করে এবং গুলি-সহ ইনসাস রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। স্থানীয় গ্রামবাসীকে ক্যাম্পের বিএসএফ কর্মীদের খবর দিলে তারা ছুটে আসে।
থানায় অভিযোগ
সম্প্রতি রাজ্য সফর করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার একসপ্তাহের মধ্যে হওয়া এই ঘটনায় যথেষ্টই বিব্রত বিএসএফ। বসিরহাট থানায় অভিযোগ জানানো পাশাপাশি এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে বিএসএফ। যদিও এব্যাপারে এখনও সাফল্য পায়নি বিএসএফ। এব্যাপারে পুলিশও তল্লাশি অভিযানে যোগ দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত একডজনের বেশি সন্দেহভাজান ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
তদন্ত চলছে, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে
১৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে সিসিটিভি ফুটেজ না থাকায় অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ কঠিন হয়ে পড়েছে। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার কমা সম্ভব হয়নি। তবে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অপরাধীদের দলটি বাংলাদেশেও পালিয়ে যেতে পারে বলেও অনুমান করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এব্যাপারে বিএসএফ-এর ঘোজাডাঙা কিংবা দক্ষিণবঙ্গের তরফে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ-এর তরফে অভ্যন্তরীরণ তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মহিলা কনস্টেবলের দায়িত্ব পালনে কোনও শিথিলতা ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তৃণমূল সরকারকে নিশানা বিজেপি রাজ্য সভাপতির
মঙ্গলবার রাতে বিএসএফ জওয়ানের কাছ থেকে ইনসাস রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে নিশাশান করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, রাজ্য জিহাদিদের জন্মক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। বাংলা কীভাবে জিহাদিদের প্রিয় স্থান হয়ে উঠেছে, এই ঘটনা তার একটি উদাহরণ মনে মন্তব্য করেছেন তিনি।