ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য!
ঠিক যেন সিনেমার কোনও দৃশ্য! মাঝ আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিমানচালক। বিমান চালানোর মতো অবস্থায় নেই তিনি। সমস্ত বিমানযাত্রীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা, ঠিক সেই সময়ে সবার প্রাণ বাঁচালেন এমন একজন যাঁর এর আগে বিমান চালানো নিয়ে কোনও ধারনাই ছিল না। বাস্তবেই ঘটেছে এমন, ফ্লোরিডায় একেবারে অক্ষতভাবে অবতরণ করেছে ওই বিমানটি। ট্রাফিক কন্ট্রোলের আধিকারিকদের সাহায্য নিয়ে সুরক্ষিতভাবে বিমান চালিয়েছেন এক সাধারণ যাত্রী।
সাহসিকতার পরিচয় দেন যাত্রী!
অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন ওই যাত্রী। লাইভ ট্রাফিক কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে কথোপকথনের শুরুতেই তিনি বলেন, 'অত্যন্ত গুরুতর সমস্যায় পড়েছি। আমাদের বিমানচালক অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন৷ একটা বিমান কীভাবে চালাতে হয়, কোনও ধারনা নেই আমার৷' এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার যখন তাঁকে ইঞ্জিনের অবস্থান জিজ্ঞেস করেন, তিনি বলেন, 'আমার কোনওরকম ধারণাই নেই। আমি শুধু নিজের সামনে ফ্লোরিডার উপকূল দেখতে পাচ্ছি৷'
কারা ছিলেন বিমানে?
জানা গিয়েছে ওই বিমানে চালক সহ আরও দু'জন যাত্রী উপস্থিত ছিলেন। ক্রিস্টোফার ফ্লোরেজ নামক কন্ট্রোল রুমের যে ব্যক্তি তাঁদের সাহায্য করছিলেন, তিনি ক্রমাগত বলতে থাকেন উইং লেভেল যেন বজায় রাখা হয়। ফ্লোরিডা উপকূলের উত্তর অথবা দক্ষিণ দিক দিয়ে যেন প্রবেশ করে বিমানটি। যাতে আরও ভালভাবে যোগাযোগ করা যায়, প্যাসেঞ্জারের ফোন নম্বরও নেন তাঁরা। এরপরেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রবার্ট মর্গ্যান। যিনি একজন পেশাদার ফ্লাইট ইন্সট্রাক্টর।
ঘটনার শেষটিও রূপকথার গল্প!
বাকিটাও রুপকথার চেয়ে কম কিছু না৷ রানওয়ে দিয়ে একেবারে সুরক্ষিতভাবে অবতরন করে বিমানটি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন কন্ট্রোলরুমের আধিকারিকরাও। একজন বলেঋেন, 'নতুন বিমানচালককে কুর্ণিশ'৷ বিমান চালক, দুই যাত্রীর কেউই কোনওরকম চোট পাননি। তবে ঠিক কোন কারনে বিমানচালক মাঝ আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। মর্গ্যান বলেন, 'আমরা শুধুমাত্র নিজেদের কাজ করেছি। তবে এই ধরনের অভিজ্ঞতা এর আগে হয়নি। আমি ভাবিনি, জীবনে এরকম কাজ আমায় করতে হবে।' শেষমেশ তাঁর পরামর্শ সঠিকভাবে পালন করে বিমানটিকে নীচে নামিয়ে আনেন এক যাত্রী, যার জন্য যাত্রীটির প্রশংসা করেছে বিমান সংস্থা৷