রাজস্থানে তাপপ্রবাহের সতর্কতা
১২ ও ১৩ মে পশ্চিম রাজস্থানের বেশিরভাগ অংশেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও কোনও জায়গায় অতিপ্রবল তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ১৪ ও ১৫ মের পাশাপাশি ১৬ মে তেও তাপপ্রবাহ চলতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
পূর্ব রাজস্থানেও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে ১২ ও ১৩ মে পূর্ব রাজস্থানের সর্বত্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। এর মধ্যে কোনও কোনও জায়গায় অতিপ্রবল তাপপ্রবাহ তৈরি হতে পারে। এই পরিস্থিতি চলতে পারে ১৪ থেকে ১৬ মের মধ্যেও।
সন্নিহিত রাজ্যগুলিতেও তাপপ্রবাহ
১২ ও ১৩ মে বিচ্ছিন্নভাবে গুজরাতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। জম্মু ও কাশ্মীরে ১২-১৫ মে, ১২-১৪ মের মধ্যে দক্ষিণ হরিয়ানা-দিল্লি, দক্ষিণ পঞ্জাব, ১২-১৬ মের মধ্যে দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ, পূর্ব মধ্যপ্রদেশে ১৩-১৬ মের মধ্যে এবং বিদর্ভে ১৪-১৬ মের মধ্যে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে
ঘূর্ণিঝড় অশনি ইতিমধ্যেই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এর প্রভাব কমে গেলেও ওড়িশায় এখনও নিম্নচাপ সক্রিয় রয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের ওপরে অশনির অবশিষ্টাংশ নিম্নচাপ এলাকায় পরিণত হয়েছে। যা পরবর্তী ১২ ঘন্টায় আরও শক্তি হ্রাস করতে চলেছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। জানানো হয়েছ উপকূল অন্ধ্রপ্রদেশের পাশাপাশি রায়ালসীমার বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
১২-১৬-মের মধ্যে অসম-মেঘালয়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১৩-১৬ মের মধ্যে অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
১৩-১৬ মে নাগাল্যান্ড-মনিপুর-মিডোরাম-ত্রিপুরায় বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশে অনেকগুলি ঘূর্ণাবর্ত ও অক্ষরেখা অবস্থান করছে
দেশের বিভিন্ন অংশে অনেকগুলি ঘূর্ণাবর্ত ও অক্ষরেখা অবস্থান করছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে থাকা একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্তের ওপর দিয়ে একটি অক্ষরেখা পশ্চিম থেকে পূর্বে রয়েছে পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ থেকে বিহার পর্যন্ত। অপর একটি অক্ষরেখা উত্তর থেকে দক্ষিণে রয়েছে বিহার থেকে উত্তর ওড়িশা পর্যন্ত। একটি অক্ষরেখা রয়েছে উত্তর-পশ্চিম রাজস্থান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব মধ্যপ্রদেশের মধ্যে। এছাড়াও পশ্চিম হিমালয় এলাকায় একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হতে চলেছে ১৬ মে নাগাদ।