প্রধানমন্ত্রী পদে পদে কে
পদত্যাগ করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাক্ষে। তাঁকে এক প্রকার পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তারপর থেকে আর তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। সূত্রের খবর সপরিবারে কোনও নৌসেনা ঘাঁটিতে গিয়ে আত্মগোপন করেছেন তিনি। তারপর থেকে বিরোধীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যােগর দাবিতে সরব হয়েছেন। এরই মধ্যে আবার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে দেশকে এই অরাজক পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে ময়দানে নামছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমসিংহে। ফের তাঁকেই রাজাপাক্ষের পদে অর্থাৎ শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদে দেখা যাবে।
রাষ্টপতিকে ইমপিচমেন্টের দাবি
প্রধানমন্ত্রী রাজাপাক্ষে পদত্যাগ করলেও তাঁর ভাই গোতাবায়া রাজাপাক্ষে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে এখনও ইস্তফা দেননি। বিরোধীরা রাষ্ট্রপতির ইম্পিচমেন্টের দাবি তুলেছেন। তাঁর কোনও সন্ধানও পাওয়া যাচ্ছে না। গোতাবায়া রাজাপাক্ষের দাবি এই পরিস্থিতিতে তিনি পদত্যাগ করতে দেশের পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে যাবে। তিনি উল্টে বিরোধীদের এক হয়ে ইউনাইটেড সরকার গড়ার কথা বলেছেন। যদিও বিরোধীরা সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। কারণ রাষ্ট্রপতি পদে রাজাপাক্ষেকে রেখে কোনও সরকম সরকার গড়ার দিকে এগোতে চান না তাঁরা।
রাজাপাক্ষের দেশ ছাড়ায় নিষেধাজ্ঞা
এদিকে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্র রাজাপাক্ষের দেশ ছাড়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে তিনি এবং তাঁর কোনও মন্ত্রী পারিষদ কেউ শ্রীলঙ্কা ছেড়ে যেতে পারবেন না বসে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এখনও শ্রীলঙ্কায় শাসক দলের নেতা কর্মীদের উপর একের পর এক হামলা হয়ে চলেছে। একাধিক নেতা মন্ত্রী আক্রান্ত হয়েছেন। বহু মন্ত্রী এবং সাংসদের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলছে লুঠ। গোটা দেশে কার্ফু জারি করা হয়েছে।
সেনা শাসনের তত্ব খারিজ
স্বাধীনতার পর থেকে শ্রীলঙ্কায় এমন কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। জ্বালানি আর খাদ্য সংকটে ভুগছে গোটা দেশ। এই চরম অরাজক পরিস্থিতিতে সেনা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ করে চলেছে। কিন্তু সেনা শাসন কোনও ভাবেই দেশে জারি হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সেনা প্রধান। রাষ্ট্রপুঞ্জ শ্রীলঙ্কার বাসিন্দাদের শান্ত থেকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলেছেন। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও তুমুল টানাপোড়েন চলছে।