জয়পুরের রাজাদের জমি দখল করে নেন শাহজাহান!
প্রায় তিন দশক ধরে আন্দোলন শেষে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের স্বপ্ন সফল হয়েছে বিজেপির৷ অযোধ্যার পাশাপাশি দাবি উঠেছে কাশী, মথুরা নিয়েও। স্লোগান দেওয়া হয়েছে, 'অযোধ্যা তো ঝাঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়'৷ অযোধ্যা, কাশী, মথুরার পর এবার দাবি উঠতে শুরু করেছে তাজমহল নিয়েও। রাজস্থানের বিজেপি সাংসদ দিয়া কুমারী দাবি করলেন, তাজমহলের জমি আদতে জয়পুরের রাজপরিবারের ছিল। পরবর্তীকালে শাহজাহান তা দখল করে নেন।
তাজমহলের বন্ধ ঘর খোলার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি নেতা!
রাজস্থানের রাজসমন্দ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দিয়া কুমারী৷ বুধবার তিনিই দাবি করেন, তাজমহল যে জমিটির ওপর তৈরি, তা আদতে হিন্দুদের। তবে এই দাবি যে তিনিই প্রথম করছেন, এমনটা নয়। ইতিমধ্যেই এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জমা পড়ে গিয়েছে। সেই পিটিশনে লেখা হয়েছে, তাজমহলের ভেতরে বন্ধ থাকা ২০ টি ঘর যেন খুলে দেওয়া হয়। সেখানে যেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা ঢুকতে পারেন। আবেদনকারী তথা বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ রজনীশ সিংয়ের দাবি, ওই ঘরগুলিতে হিন্দু মূর্তি থাকতে পারে।
আদালতকেও তথ্য দিতে রাজী দিয়া!
স্বাভাবিকভাবেই এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই আবেদন নিয়ে উত্তাল হয়েছে গোটাদেশ। এমতাবস্থায় রাজস্থানের বিজেপি কেন্দ্রীয় দাবি করেন, তাঁদের কাছে তথ্য রয়েছে যে ওই জমি জয়পুরের রাজ পরিবারের৷ পরবর্তীকালে যা শাহজাহান দখল করে নেন। তিনি বলেন, ' গোটা ঘটনাটিই আদালতের বিচারাধীন রয়েছে। আমি একেবারে বলছি না যে ওই জমি আমাদের। তবে আদালত যদি কখনও তথ্য চায়, আমরা সহযোগিতা করব। রাজ পরিবারের সেই তথ্য আদালত পরীক্ষা করে দেখলেই সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে৷ মানুষের জানা উচিত, কেন ওই ঘরগুলি এখনও বন্ধ। বহু ঘর এখন বন্ধ রয়েছে, সেগুলিতে সঠিকভাবে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।'