একেবারে ২২ বছরের রেকর্ড ভেঙে মে'তেই 'শীতলতম' দিন এই শহরে, সৌজন্যে ঘুর্ণিঝড় অশনি

দিন কয়েক আগেও প্রবল গরমে তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছে ভারতের একাধিক রাজ্যে। হু হু করে ক্রমশ বেড়েছে তাপমাত্রা। একটু বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করেছিল মানুষ। অবশেষে সেই কাঙ্খিত স্বস্তি নিয়ে এসেছে অশনি। যদিও এখনও পর্যন্ত সে ভাবে ঝড়ের দাপট সেভাবে দেখা যায়নি। তবে, বৃষ্টি শুরু হয়েছে অনেক রাজ্যেই।

Weather Update : শক্তি ক্ষয় অশনির, দক্ষিণবঙ্গে চলবে বৃষ্টি

আর এই কারনে প্রবল গরমে পুড়তে থাকা একাধিক রাজ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। শুধু তাই নয়, এই আবহে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে বেঙ্গালুরু শহরে। আর তাতে খুশি সে রাজ্যের মানুষ।

এত কম কখনও হয়নি এই শহরের তাপমাত্রা

গত ২২ বছরে মে মাসে এত কম কখনও হয়নি এই শহরের তাপমাত্রা। মঙ্গলবার এই শহরের তাপমাত্রা ছিল ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিস বলছে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৯ ডিগ্রি কম। তাই বলা যেতে পারে ২০০০ সালের পর থেকে মে মাসের শীতলতম দিনের সাক্ষী রইল বেঙ্গালুরু। বুধবার সকাল থেকেই শহর জুড়ে মেঘলা আকাশ দেখা গিয়েছে। এমনকি কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। সে রাজ্যের হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, শহর জুড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমান ৩.৫ মিলিমিটার। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

২৪ ঘণ্টাও মেঘলা থাকবে শহরের আবহাওয়া

বেঙ্গালুরুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টাও মেঘলা থাকবে শহরের আবহাওয়া। বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। ফলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টাতেও এমন স্বস্তিদায়ক আবহাওয়াই থাকবে শহরে, পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গত কয়েকদিনে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের এখনই বিরতি নেই। এই অবস্থায় আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উত্তর দিকে শুষ্ক আবহাওয়াই দেখা গিয়েছে

আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, কর্ণাটকের দক্ষিণে কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। তবে কর্ণাটকের উত্তর দিকে শুষ্ক আবহাওয়াই দেখা গিয়েছে। ওই রাজ্যের কালাবুর্গিতে তাপমাত্রা ছিল সবথেকে বেশি। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসম ভবন বলছে, আপাতত যা আবহাওয়া থাকবে তাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর উঠবে না।

সাম্প্রতিক আপডেট কি জানাচ্ছে?

সাম্প্রতিক বুলেটিনে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে সাইক্লোন অশনি ক্রমশ উত্তর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বুধবার রাতে সেটি পৌঁছবে অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূলে। তবে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ক্রমশ শক্তিক্ষয় হতে হতে ঘূর্ণিঝড়ের তকমাও হারিয়েছে অশনি। আরও বেশি শক্তি হারিয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সেই সাইক্লোন। মনে করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকালে আরও শক্তি হারিয়ে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। তার জেরে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। কর্ণাটক ছাড়াও কেরল, মাহে, লাক্ষাদ্বীপ, অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টি হবে আগামী ৫ দিন ধরে। তামিলনাড়ি, পুদুচেরি, কারাইকালেও একই অবস্থা থাকবে।

More COLD WAVE News  

Read more about:
English summary
Bengaluru witnesses coldest day of March after 22 years because of cyclone Asani