'সত্যি বললেই সে বিশ্বাসঘাতক নয়', 'রাষ্ট্রদ্রোহ' আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত রাহুলের

সত্যি বললেই সেটা বিদ্রোহ নয়। আবার সত্যি কথা বলার অর্থই সেটা বিশ্বাসঘাতকতা নয়। সুপ্রিম কোর্টের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি টুইটে িলখেছেন, সত্যি কথা বলা সব সময় দেশভক্তির পরিচয় দেয়। আর সত্যি কথা শোনার ক্ষমতা রাখা একজনের ডিউটির মধ্যে পড়ে। সত্যকে অস্বীকার করা ঔদ্ধত্যের লক্ষ্মণ। কাজেই এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু সত্যের জয় হবেই।

সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত

দেশদ্রোহী আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি টুইটে িলখেছেন, সত্যি বললেই েয সেটা বিশ্বাসঘাতকতা হয় এমন নয়। উল্টে সত্যি কথা বলা দেশভক্তির নিদর্শন। সৎ মানুষরাই সত্যি কথা বলেন। এবং এই সত্যি শোনার ক্ষমতাও থাকতে হয়। একজন ব্যক্তির ডিউটি এই সত্যি কথা শোনা। সত্যি থেকে কখনও ভয় পেতে নেই। কাজেই সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত জরুরি ছিল বলে টুইটে লিখেছেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত

আজ ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আপাতত রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে আর কোনও মামলা করা যাবে না বলে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে নির্দেশ। দিয়েছে এক কথায় কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত বড় ধাক্কা খেয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহী আইনে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মোদী সরকার। এই আইনের ধারায় যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের দ্রুত জামিনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যগুিলকেও এই আইনের ধারায় এফআইআর করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে।

চাপে বিজেপি

সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত সন্তুষ্ট নন বিজেপি নেতারা। শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতে না পারলেও কিরেন রিজিজু সহ একাধিক নেতা দাবি করেছেন, সত্যি বলা ভালা কিন্তু তার একটা লক্ষ্মণ রেখা অবশ্যই রয়েছে। সেই লক্ষ্মণ রেখা নিযেই কাজ করতে হবে। একাধিক বিজেপি নেতা এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কাণ বাক স্বাধীনতার নাম করে যা খুশি তাই বলা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা।

স্বাগত জানােলন বিরোধীরা

সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে টিএমসিও। সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় থেকে শুরু করে মহুয়া মৈত্র সকলেই স্বাগত জানিয়েছেন শীর্ষ আদালতের রায়কে। মোদী সরকার এই আইনের অপব্যবহার করছিেলন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্ট এর আগে কেন্দ্রকে এই আইন পুনর্বিবেচনা করার কথা বলেছিল। কিন্তু মোদী সরকার প্রকাশ্যেই জানিয়েছিল সেটা করতে তারা আগ্রহী নয় এই নিয়ে দীর্ঘ কয়েক দিন ধরেই টালবাহানা করছিল মোদী সরকার।

'স্বাস্থ্যসাথী' কার্ড না নিলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা! মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তোপ মমতার 'স্বাস্থ্যসাথী' কার্ড না নিলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা! মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তোপ মমতার

More RAHUL GANDHI News  

Read more about:
English summary
Rahil Gandhi coment on Sedition law
Story first published: Wednesday, May 11, 2022, 17:37 [IST]