রেকর্ড গড়া ইনিংস
ঋতুরাজ গতকাল পুনের এমসিএ স্টেডিয়ামে ৫৭ বলে ৯৯ করেন। ৫০ বলেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ৯০-এ। পরের সাত বলে আসে ৯। এক রানের জন্য শতরান হাতছা়ড়া। প্রথমে কিছুটা আক্ষেপ হলেও এই ইনিংস দলের জয়ে কাজে লাগাতেই তৃপ্ত ঋতুরাজ। ডেভন কনওয়ে এবারের আইপিএলে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন, বিয়ের পর প্রথম। তাঁর সঙ্গে ঋতুরাজের ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ১৮২ রান। আইপিএলের ইতিহাসে যা চেন্নাই সুপার কিংসের সর্বাধিক রানের পার্টনারশিপ। ২০২০ সালে ফাফ দু প্লেসি ও শেন ওয়াটসন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১৮১ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে গতকাল।
ঘরের মাঠে দাপট
গত আইপিএল মরশুমে চেন্নাই সুপার কিংসের সাফল্যের অন্যতম বড় ফ্যাক্টর ছিল ফাফ দু প্লেসি ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের ফর্ম। দুজনে বেশ কিছু অনবদ্য পার্টনারশিপ গড়েছেন, একজন ব্যর্থ হলে অন্যজন দলকে দাঁড় করিয়েছেন মজবুত ভিতে। সিএসকে টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গতকালের ম্যাচের সেরা ঋতুরাজ মজা করে বলেন, ফাফ হয়তো কিছুটা ঈর্ষান্বিত হবেন। তবু ঠিকই আছে। রেকর্ড গড়়তে পেরে ভালোই লাগছে। সর্বোপরি নিজের শহরে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সামনে তা হওয়ায় বেশি তৃপ্তি পাচ্ছেন ঋতুরাজ। তাঁর কথায়, সকলেই আমার ম্যাচ দেখতে আসেন না। তবে এদিন তাঁরা এসেছিলেন। আমার রান দেখতেই আসা ব্যাপারটা তা নয়। তবে তাঁদের মনে সেই ইচ্ছা তো ছিলই। আশা করি, তাঁদের গর্বিত করতে পেরেছি।
পারফরম্যান্সে খুশি
ঋতুরাজ গতকাল আরও বলেন যে তিনি ফর্মে বিশ্বাস করেন না। কারণ, আগের ম্যাচে বড় ইনিংসের পরও নতুন ম্যাচে সেই শূন্য থেকেই খেলা শুরু করতে হয়। তাই প্রতি ম্যাচেই তিনি শূন্য থেকে শুরু করতে হবে বলেই মাঠে নামেন। গতকাল পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে কোনও উইকেট না পড়লেও প্রত্যাশামতো রান ওঠেনি। এ প্রসঙ্গে ঋতুরাজ বলেন, জানতাম উইকেটে টিকে থাকতে পারলেই রান আসবে। উইকেট খুব একটা সহজ ছিল না। কনওয়ে সঙ্গে খুব বেশি খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও আমার ঘরে বেশিরভাগ সময়েই থাকেন তিনি। ফলে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া ঠিকই ছিল। আমার লক্ষ্য ছিল শেষ অবধি থাকা। কনওয়েও যেভাবে খেলেছেন এবং আইপিএলে প্রথম অর্ধশতরানটি পেলেন তাতে ভালো লাগছে।
অবলীলায় সামলালেন উমরানকে
ঋতুরাজ চমকে দিয়েছেন উমরান মালিকের গতি অবলীলায় সামলে। গতকালই চলতি আইপিএলে সবচেয়ে দ্রুতগতির বলটি করেন উমরান ধোনিকে, যেটির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৪ কিলোমিটার। অন্য দলগুলি যেমন ৭ থেকে ১৬ ওভারে স্পিনারদের আক্রমণে আনে, সানরাইজার্স সে পথে না হেঁটে উমরানের গতি দিয়ে বিপক্ষকে সমস্যায় ফেলতে চায়। কিন্তু গতকাল সেই কৌশল কাজে লাগেনি। প্রথম বল থেকেই উমরানের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের রাস্তা বেছে নেন ঋতুরাজ। কখনও শর্ট বল কভার অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন, এমনকী লং অন দিয়ে ছক্কাও হাঁকিয়েছেন। স্বভাববিরুদ্ধ স্লোয়ারেও ঋতুরাজকে থামাতে পারেননি উমরান। ঋতুরাজ বলেন, উইকেট কিছুটা স্লো ছিল। কিন্তু উমরান সঠিক পেসেই বল করছিলেন। তাই তাঁকে পাল্টা চাপে ফেলতে প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণের রাস্তায় যাই।