ত্রিপুরায় পুরসভা ভোট নিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতি। একের পর এক বুথে উত্তেজনার খবর আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে শাসক দলের ছাপ্পা ভোটের ভিডিও। তারপরেই তৎপর হয় সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রকে আবিলম্বে বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগেই নির্বাচন কমিশন ত্রিপুরা পুরভোটের সব কেন্দ্রকে স্পর্ষকাতর হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সকাল থেকে একের পর এক বুথে হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধর থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে না দেওয়া একাধিক ঘটনা ঘিরে তোলপাড় গোটা ত্রিপুরা।
সকাল থেকেই ত্রিপুরার পুরভোটে একাধিক পুথে চলছে অশান্তি। কোথাও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধর করা হচ্ছে। আবার কোথাও তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। ত্রিপুরার ৪৫ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার ৫ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী লিটন বর্মনকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা একাধিক জায়গায় তৃণমূস কংগ্রেসের উপর হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একের পর এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আগরতলায় এএমসি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বুথের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা দিয়েছে ত্রিপুরার শাসক দলের একজন সদস্য বুথের ভেতরে রয়েছেন। এবং তিনি ভোটারদের হয়ে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন ইভিএমে। ইভিএমে শাসক দলের প্রতিকে বোতাম টিপে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন সেই ব্যক্তি। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই তৎপর হয় সুপ্রিম কোর্ট। অবিলম্বে ত্রিপুরায় বাড়তি বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রকে কড়া বার্তা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, অবিলম্বে ত্রিপুরায় বাড়তি বাহিনী পাঠানো হোক এবং ২৮ নভেম্বর ভোট গণনা হওয়া পর্যন্ত যেন সেই বাহিনী ত্রিপুরায় থাকেন। আগেই ত্রিপুরার সব বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মত কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছিল।
পুরসভা ভোটের দিন ফের বিপ্লবদেব সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সুদীপ রায় বর্মন। তিনি তীব্র নিশানা করে বলেছেন, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বিপন্ন। আগরতলা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পদ্মা ভট্টাচার্যের ছেলেকে মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল প্রার্থীর ছেলে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আরও ২ কোম্পানি মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।