ভিন রাজ্য থেকে দুষ্কৃতী আমদানি
ভিন রাজ্য থেকে দুষ্কৃতী আমদানি করে ত্রিপুরায় গুণ্ডামী করা হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ত্রিপুরা বিজেপির নেত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তিনি অভিযোগ করেছেন, অন্য রাজ্যে এরাই সাধারণ মানুষের ওপরে হামলা করছে। মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেছে, চুরি করেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এখনও লক্ষাধিক লোক বাড়িতে ফিতে পারেননি। নাম না করে তিনি বলেছেন, এরা নারদা-সারদায় অভিযুক্ত হয়ে মুখ না লুকাতে পেরে ত্রিপুরাকে সফট টার্গেট করেছে।
দায়ী আইপ্যাক
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এব্যাপারে নিশানা করেছেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের দিকে। তিনি বলেছেন, যেভাবে বিয়ের জন্য পাত্রপাত্রী ঠিক করা হয়, ঠিক সে ভাবেই তারা নেতা ঠিক করছে। স্ট্যান্ট পলিটিকস, অভিনয়ের রাজনীতি করার জন্যই তারা ত্রিপুরাকে বেছে নিয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেছেন, ত্রিপুরার যে সুস্থ পরিবেশ বজায় রয়েছে, তা খারাপ করতে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে চলেছে তারা। প্রসঙ্গত রবিবার যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে ডেকে পূর্ব আগরতাল থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় একবার থানায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পরে বিকেলেও আরও একবার হামলা চলে। হামলা করা হয় ত্রিপুরা তৃণমূলের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের বাড়িতে।
নবান্নে গিয়ে কি ধরনা দিতে দেবেন
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, নর্থ ব্লকে অমিত শাহের অফিসের সামনে গিয়ে ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। কিন্তু এইভাবে কি নবান্নে ধরনা দিতে দেবেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ধরনার আগেই খুন করে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে তৃণমূলের ১৭ জন সাংসদ সোমবার নর্থ ব্লকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে গিয়েছিলেন। সকালে সেখানে মন্ত্রীর সময় না পাওয়ায় ধরনায় বসে যান। প্রতিমা ভৌমিক দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের যেসব নেতা এসেছেন রাজ্যে, তারা হয় চোর, না হয় ধর্ষণকারী, গরু পাচারকারী। এরাই ত্রিপুরায় এসে হিংসা পাকাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
কুয়োর ব্যাঙ তরজা
পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে কুঁয়োর ব্যাঙ বলেছিলেন। তা ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রতিমা ভৌমিক। তিনি বলেছেন, যারা নিজেরা চোর, তারাই প্রধানমন্ত্রী চোর বলে।