ত্রিপুরায় তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারির পরের দিনই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল শুনানি না হলেও। বুধবার শুনানি হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলার শুনানিতে আজ শীর্ষ আদালত ত্রিপুরা সরকারের কাছে জানতে চায়, বিজেপি নেতারা কি তালিবানদের স্টাইলে কথা বলেছিল তা জানতে চায় শীর্ষ আদালত। কীভাবে বিজেপি বিধায়করা কথা বলেছিল বিপ্লবদেব সরকারের কাছে জানতে চায় শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি ডিয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ মামলার শুনানিেত জানিয়েছে কোন ভাষায় কথা বলেছিলেন বিজেপি নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপি বিধায়ক অরুণ চন্দ্র ভৌমিক তালিবানি ভাষায় কথা বলছিলেন ভোটের প্রচারে। আদালতে শুনানিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেই ভাষায় অভিযোগ করা হয়। মামলার শুনানিতে আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি জানিয়েছেন, এমন কোনও বক্তব্য রাখেননি বিজেপি বিধায়ক। আবেদনকারীরা অকারণে সেই কথা বলছেন। তার পাল্টা জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তা জানিয়েছেন, একেবারেই সত্যি কথা বলা হচ্ছে না। তালিবানি ভাষাতেই ভোটের প্রচারে বক্তব্য রাখছেন বিজেপি বিধায়করা।
সাংবাদিকের উপরেও মারধর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে স্লগান দেওয়ার অপরাধে। আদালতে এমনই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেছেন ত্রিপুরায় এতটাই আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে যে সিপিএমকে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিতে হচ্ছে। প্রার্থীদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পুরভোটের ঠিক আগেই আগরতলায় হোটেলে হানা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিন অযোগ্য ধারায় সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। থানার বাইরে কুণাল ঘোষকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারপরেই রাতেই ত্রিপুরায় ছুটে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস অমিত শাহের কাছে নালিশও জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ত্রিপুরা সরকারের কাছ থেকে ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে। এদিকে আর একদিন পরেই ত্রিপুরায় পুরভোট। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। শেষ বেলার প্রচারে এক প্রকার ঝড় তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছে সেখানে। গ্রেফতারের পরের দিন সায়নী ঘোষের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। পুরভোটে নিরাপত্তার কী আয়োজন করা হয়েছে তা নিয়েও ত্রিপুরা সরকারের কাছে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।