পুরভোট প্রহসনে
আগরতলা-সহ ২০ টি পুরসভা ও নগর পঞ্চায়েতে নির্বাচন ২৫ নভেম্বর। তার আগে বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে ত্রিপুরায়। মিডিয়ার মাধ্যমে বিশেষ করে তৃণমূলের ওপরে হামলার খবরই সামনে এসেছে। যা নিয়ে এদিন দলের রাজ্য নেতৃত্বকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন। তাঁর অভিযোগ সিপিএম-এর গুণ্ডারা বিজেপিতে ঢুকে পড়ে বদনাম করছে। মূল শত্রুকে চিহ্নিত করতেও রাজ্য নেতৃত্ব ভুল করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব শত্রুকে চিহ্নিত করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
শিশু সুলভ নেতৃত্ব
মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই সুদীপ রায় বর্মনের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তবে এদিন তিনি একবারের জন্যও বিপ্লব দেবের নাম করেননি। তিনি বলেছেন শিশু সুলভ নেতৃত্ব। সুদীপ রায় বর্মন বলেছেন, তাঁর অভিযোগ মুষ্টিমেয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেছেন, যাঁরা দল ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে দলে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিপ্লব দেবের নাম না করে তিনি বলেছেন, একজন শীর্ষ নেতৃত্বকে দেখাচ্ছেন মেরে ধরে তিনি কাজ দেখাচ্ছেন। কিন্তু এইভাবে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
মমতার হাত ধরে কংগ্রেসে ভাঙন! তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার
বিজেপি নেতৃত্বকে দিশা দেখানোর চেষ্টা
সুদীপ রায় বর্মন দাবি করেছেন, তিনি দলের বিরুদ্ধে কিছু বলছেন না। দলকে দিশা দেখানোর চেষ্টা করছেন। পুর নির্বাচনের দলের সম্ভাব্য ফল প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, দলের প্রার্থীরাই জয়ী হবেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন মানুষ উৎসবের মতোই ভোট দেবেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রার্থী নির্বাচন হোক কিংবা প্রচার, কোথাও তাঁকে কিংবা তাঁর অনুগামীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
অনেকদিন থেকেই বিক্ষুব্ধ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অনেকদিন থেকেই রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি ক্ষুব্ধ সুদীপ রায়বর্মন। একদিকে যেমন তিনি দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, অন্যদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফেও রাজ্যে পরিস্থিতি জানার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সুদীপ রায়বর্মন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আগরতলায় পুরো সময় বৈঠক না করেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পরে আগরতলায় নিজের অনুগামী সমর্থকগ এবং কয়েকজন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও এদিন সুদীপ রায় বর্মন বলেছেন, বিজেপির নেতৃত্বেই রাজ্য থেকে সিপিএমকে সরানো হয়েছিল। তাই তিনি এখনই বিজেপি ছাড়ার কথা ভাবছেন না।