তৃণমূলে পবন বর্মা
গতকাল দিল্লিতে পা রেখেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে পা রাখার আগেই ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র কঙ্কালে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে। মোদী সরকারের কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্তের পরেই শীতকালীন অধিবেশনে কোন অস্ত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্রতর করা যায় তার রণকৌশল নির্ধারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিল্লি সফর বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূলে যোগদান
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের দ্বিতীয় দিনেই তণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে শুরু করেছেন একের পর এক তাবর রাজনৈতিক নেতা। দুপুরেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন জাভেদ আখতার এবং শাবানা আজমি। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন প্রাক্তন জেডিইউ সাংসদ পবব বর্মা। এবার বিহারেও খাতা খোলার তোরজোর শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মনে করা হচ্ছে পবন বর্মার হাত ধরেই বিহারে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন শুরু করতে চলেছে। ২০২৪-র লোকসভা ভোটকে টার্গেট করেই বাংলার বাইরে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা, গোয়া, উত্তর প্রদেশের পর এবার বিহারেও পা রাখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিহারে এবার বিজেপির সঙ্গে জোট না থাকলে সরকার গড়তে পারত না জেডিইউ। নীতীশের সংগঠনের অবস্থা এখন খুবই খারাপ। নীতীশের জনপ্রিয়তাও তলানিতে এসে ঠেকেছে।
তৃণমূলে কীর্তি আজাদ
পবন বর্মার পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন কীর্তি আজাদ। প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। বিহারের আরেক সাংসদ কীর্তি আজাদ যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির বাসভবনে পৌঁছে কার্তি আজাদ এবং তাঁর স্ত্রী পুনম আজাদ যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। পর পর দুই বিহারের নেতার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান নীতীশ সরকারকে অনেকটা অস্বস্তি বাড়াবে। জাতিয় স্তরে কীর্তি আজাদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান অনেকটাই গুরুত্ব বাড়াবে। কীর্তি আজাদ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কাজেই জেডিইউ এবং কংগ্রেসের ঘরে হানা দিয়ে এক প্রকার বিহারে শক্তি বাড়িয়ে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
২০২৪-এ মমতাই দিল্লিতে
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে জেডিইউ নেতা পবন বর্মা দাবি করেছেন ২০২৪ সালে দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই দিল্লিতে সরকার গঠন হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বও সেই টার্গেট করেই এগোচ্ছে। সেকারণেই দফায় দফায় দিল্লি সফর করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিধানসভা ভোটের পরেই বিরোধী ঐক্যের কথা বলে দিল্লিতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোর গলায় শোনা যাচ্ছে অন্যসুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার বিরোধী ঐক্যের সমীকরণের বাইরে গিয়েই লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চাইছেন। সেকারণেই একাধিকবার তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, কংগ্রেসের পক্ষে বিজেপিকে হারানো সম্ভব নয়। একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই পারে বিজেপিকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে।