আগামী ২৫ তারিখ পুরভোট ত্রিপুরাতে। আর এই ভোটকে কেন্দ্র করে ক্রমশ চড়ছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক উত্তেজনা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে সে রাজ্যে পুর নির্বাচন তৃনমুলের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। অন্যদিকে এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়তে নারাজ বিজেপিও। আর এই অবস্থায় সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারের ঘটনায় ক্রমশ চড়ছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পারদ।
সায়নীর পাশে দাঁড়াতে সোমবার সকালেই আগরতলা পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে পৌঁছেই বিজেপিকে তিব্র আক্রমণ অভিষেকের। বিপ্লব দেবের নাম ধরে তোপ। ত্রিপুরাতে নৈরাজ্যের সরকার চলছে। মাত্র কয়েক মাস হয়েছে এখানে তৃণমূল নিজেদের জায়গা শক্ত করেছে। আর তাতেই বিজেপির ঘুম উড়ে গিয়েছে। আর এক বছর হলে বিজেপির কি অবস্থা হবে? প্রশ্ন অভিষেকের।
অন্যদিকে রবিবার সায়নী ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বামশিবিরও। সিপিএমের তরফে এই ঘটনার তিব্র নিন্দা জানানো হয়। সেইসঙ্গে থানার বাইরে তৃণমূল নেতা কর্মীদের ওপরও হামলার নিন্দা করে সিপিএম। এই বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে অভিষেক বলেন, সিপিএম এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তা আমি দেখেছি। পাশে থাকার জন্যে ধন্যবাদও জানাচ্ছি। কিন্তু ভার্চুয়াল কিংবা কাগজে কলমে নয়, মাঠে নেমে লড়াই করার ডাক দেন অভিষেক। যেমন বিজেপির বিরুদ্ধে মাঠে নেমে লড়াই করছে তেমন লড়াইয়ের ডাক দেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
এখানেই শেষ নয়। এই কথার প্রসঙ্গ টেনেই অভিষেক আরও বলেন, সিপিএম বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা রাখে না। কংগ্রেসেরও বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা নেই। যদি থাকত তাহলে সিপিএম বা কংগ্রেস বাড়িতে বসে থাকত না। বিরোধীদের কাজ গঠনমূলক বিরোধিতার মাধ্যমে মানুষের ইস্যুগুলি তুলে ধরা। কিন্তু তৃণমূল আসার আগে এই কাজ সঠিকভাবে হয়নি। আর তা হলে তৃণমূলকে সব জায়গাতে যেতে হত না। আর তাই বিজেপিকে হারাতে সমস্ত দলকেই একজোট হওয়ার বার্তা দেন অভিষেক। বিশেষ করে ত্রিপুরাতে বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেস এবং সিপিএম সবাইকে একজোট হওয়ার বার্তা অভিষেকের মুখে।
অন্যদিকে, ত্রিপুরার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান অভিষেক। বলেন, যদি আসল পরিবর্তন চান তাহলে তৃণমূলকে ভোট দিন। প্রথমদিন থেকে যেভাবে পাশে থেকে লড়াই করছি সেভাবেই মানুষের পাশে থাকার বার্তা অভিষেকের মুখে। শুধু তাই নয়, ইস্তেহারে যেমন বলা হয়েছে তেমনভাবেই ত্রিপুরাকে সাজিয়ে তোলা হবে বলে প্রতিশ্রুতি। আর তা বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ভয় পেলে চলবে না। সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাঁর পরামর্শ, বিজেপি জিন্দাবাদ বলে ভোট দিতে যাবেন আর তৃণমূলকে গিয়ে ভোট দেবেন।