বেঙ্গালুরুর একাধিক এলাকা প্লাবিত, নৌকা নিয়ে চলছে উদ্ধার কাজ, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস আইএমডির

অবিরাম বৃষ্টির কারণে সোমবার সকাল থেকে বেঙ্গালুরুর একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় স্বাভাবিক জীবন অত্যন্তভাবে ব্যহত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ইয়েলহাঙ্কা জোনের একাধিক রাস্তা, আবাসন চত্ত্বর, দোকান ও বাড়ি প্লাবিত হয়। শহরের বেশিরভাগ অংশে জল কমে গেলেও, কোগিলু ক্রস, কোন্দাপ্পা লেআউট এবং টাটা নগরের রাস্তাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ৷

৫৪টি এলাকা জলমগ্ন

রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে অনবরত ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার জন্য সব প্রধান বাঁধগুলি জলপূর্ণ হয়ে গিয়েছে এবং শহরের ৫৪টি এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ৬৬ একর জুড়ে থাকা সিঙ্গাপুরা লেকের জল উপছে পড়ার কারণে এই আবাসিকগুলিতে সোমবার সকাল থেকে জলমগ্ন হয়ে যায়। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ বিভাগ সহ ত্রাণ দল নিযুক্ত করেছে।

ইয়েলহাঙ্কা এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত

৪৫টি এলাকা জলমগ্ন সহ বেঙ্গালুরুর ইয়েলহাঙ্কা এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তাই নয়, মহাদেবপুরা, বিদ্যারান্যপুরম, আল্লাসান্দ্রা ও রাজরাজেশ্বরীনগরের বহু বাড়ি ও আবাসন জলের নীচে চলে গিয়েছে। ইয়েলহাঙ্কা-চিক্কাবল্লাপুর রোড, বেঙ্গালুরু-ডোড্ডাবল্লপুর রোড জলমগ্ন হওয়ার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে বহু যাত্রী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। নভেম্বরের প্রথম থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার দরুণ রাজ্যের প্রধান বাঁধগুলি প্রায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। কৃষ্ণরাজাসাগর (‌কেআরএস)‌, কাবিনী, ভদ্র ও তুঙ্গভদ্র সহ প্রধান বাঁধগুলি তাঁদের ক্ষমতা অনুযায়ী শনিবারই ভর্তি হয়ে গিয়েছে। এমনকী তিনটি হাইডেল এনার্জি রিজার্ভার এবং অন্য ছয়টি বাঁধ প্রায় পূর্ণ।

বাঁধগুলি জলপূর্ণ হয়ে গিয়েছে

জানা গিয়েছে, কাবেরী অববাহিকাতে ৯৫ শতাংশ এবং কৃষ্ণা অববাহিকায় ৯২ শতাংশ জল সংরক্ষণ হয়েছে ৷ বাঁধগুলি থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ার কারণে বনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে তাই নীচু এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। নৌকা নিয়ে উদ্ধার করা হচ্ছে এইসব এলাকার বাসিন্দাদের। সরকারিভাবে বলা হয়েছে, রাজ্যের তুঙ্গভদ্র বাঁধ থেকে ৮০ হাজার কিউসের জল ছাড়া হবে। তবে বিপদের মধ্যেও স্বস্তির খবর এই যে কর্ণাটক জুড়ে বিভিন্ন শহরের হ্রদগুলি যেগুলি কয়েক দশক ধরে ভরাট হয়নি সেগুলির বেশিরভাগই পূর্ণ হয়ে গিয়েছে ৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

আইএমডির পূর্বাভাস

আইএমডি ইতিমধ্যে কর্নাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও করাইকাল জুড়ে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে। এই সময়ের মধ্যেই কর্নাটকের উপকূল এলাকাগুলির প্রত্যন্ত এলাকায় ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আইএমডি। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে যে বেঙ্গালুরুতে সোমবার ও মঙ্গলবার হাল্কা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হবে। রাজধানী এই শহরে ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর হাল্কা বৃষ্টিপাত হবে বলে জানা গিয়েছে।



খবরের ডেইলি ডোজ, কলকাতা, বাংলা, দেশ-বিদেশ, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা, ব্যবসা, জ্যোতিষ - সব আপডেট দেখুন বাংলায়। ডাউনলোড Bengali Oneindia

More KARNATAKA News  

Read more about:
English summary
part of bengaluru submerged rescue work on boats underway imd predicts more showers,