ুক্রবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন মোদী। তবে সংসদে এখনও এই আইন প্রত্যাহার হয়নি। সূত্রের খবর, এবার তেমনটাই ঘটতে চলেছে ২৪ নভেম্বরে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয়েছিল তিনটি কৃষি বিল। সংসদের দুই কক্ষের সম্মতিতেই আইনে পরিণত হয়েছিল তিনটি বিল। তবে এরপরই শুরু হয় প্রতিবাদ, আন্দোলন। কৃষকদের এই বিলের কার্যকারিতা বোঝাতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। টানা এক বছর ধরে দেশজুড়ে চলেছে প্রতিবাদ। অবশেষে চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর এই আইন প্রত্যাহারের কথা বলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত যাতে অতি শীঘ্রই বলবৎ হয়, ব্যবস্থা নিতে চলেছে মন্ত্রিসভা। আগামী ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এই বিল প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনায় বসবেন জনপ্রতিনিধিরা৷
জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদী স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে তাঁরা শত চেষ্টা সত্ত্বেও একটা অংশের কৃষকদের এই বিলের গুরুত্ব বোঝাতে পারেননি৷ দেশবাসীর কাছে এই কারণে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। স্পষ্ট বলেছিলেন, 'আমাদের নিশ্চয়ই কোনও খামতি আছে। যার জন্য একটা অংশের কৃষকদের আমরা বোঝাতেই পারিনি এই আইনের কার্যকারিতা।' আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। মোদীর ঘোষণা অনুযায়ী এই অধিবেশনেই সরকারিভাবে তিনটি কৃষি আইন তুলে নেওয়া হবে।
যথারীতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই কৃষি বিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনগুলি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও এই সিদ্ধান্তে তাদের নৈতিক জয় দেখছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও বিক্ষোভ থেকে সরতে নারাজ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা৷ তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও অন্যান্য দাবিতে এখনও অনড়। তাঁরা জানিয়েছে, এখনও ফসলের মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস নিয়ে তাদের দাবি মেটেনি। রবিবার এই প্রসঙ্গে বৈঠকেও বসতে চলেছেন কিষাণ মোর্চার নেতারা৷