ফের বেসুরো বরুণ গান্ধী। এবার লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। তিনি মোদী সরকারের কৃষি আইনেরও প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছিলেন। বরুণ গান্ধী চিঠিতে লিখেছেন যেসব কৃষক আন্দোলন করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দিতে হবে। আগে মোদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিলে ৭০০ জন কৃষক জীবিত থাকতেন বলেও মন্তব্য করেছেন বরুণ গান্ধী।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুরুনানর জয়ন্তীতে মোদীর এই ঘোষণায় গোটা দেশে খুশির হাওয়া। কৃষকদের ১ বছরের আন্দোলন সফল হয়েছে। গতকালইআন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে কৃষকরা। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট রয়েছে বলে মনে করছে কংগ্রেস। এই নিয়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মোদীকে চিঠিও লিখেছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন যদি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য সৎ হত তাহলে তিনি অজয় মিশ্রর সঙ্গে স্টেজ ভাগ করে নেবেন না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই অজয় মিশ্রের ছেলেই লখিমপুর খেরিতে আন্দোলনরত চার কৃষককে গাড়িতে পিষে মেরেছিল।
তারপরেই আবার বরুণ গান্ধী চিঠি লিখেছেন মোদীকে। বিজেপি নেতা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে মৃত কৃষকদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন কেন্দ্র যদি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আগে নিত তাহলে কমপক্ষে ৭০০ কৃষক প্রাণে বাঁচতেন। যদিও মোদী গতকালই ঘোষণা করেছেন মৃত কৃষকরে পরিবারের ১ জনকে চাকরি দেওয়া হবে এবং কৃষকদের স্মৃতিতে সৌধ তৈরি করা হবে। বরুণ গান্ধী চিঠিতে আরও লিখেছেন, 'বিজেপির একাধিক নেতার উত্তেজনা প্রবণ কথায় লখিমপুর খেরির ঘটনার জন্য দায়ী। এটা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এই ঘটনায় যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। '
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে আগেও প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন বরুণ গান্ধী। তিনি যোগী সরকারের কাজের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এমনকী যোগীকে চিঠি লিখে মন্ত্রী পুত্রকে অবিলম্বে গ্রেফতরেরও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই অবশ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোপে পড়তে হয়েছিল বরুণ গান্ধীকে। এগজিকিউটিভ কমিটি থেকে বাদ পড়েছিলেন বরুণ গান্ধী এবং মানেকা গান্ধী। বরুণ গান্ধীর একের পর এক দলের সিদ্ধান্ত বিরোধী মন্তব্য ঘিরে জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে। জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দান করতে চলেছেন তিনি। যদিও এই খবরের কোনও সত্যতা এখনও জানা যায়নি। তবে দল বিরোধী একের পর এক মন্তব্য করায় বরুণ গান্ধী যে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তা স্পষ্ট হয়ে গিেয়ছে। এবং মোদী সরকারের কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পরেও এই ধরনের চিঠি লেখা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।