তথাগতকে সমর্থন ফিরহাদের
সাত সকালে বিজেপি নেতা তথাগত রায় যাকে বলে বোমা ফািটয়েছেন টুইটারে। তারপরেই উথাল-পাতাল রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের টুইটকে সমর্থন জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, কোনও গুণী ব্যক্তিই বিজেপিতে বেশিদিন টিকতে পারেন না। তারপরেই তথাগত রায়ের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা পারদ চড়তে শুরু করেছে। তথাগত রায় যদিও বিধানসভা ভোেটর পর থেকেই দলের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন তিনি। সরাসরি দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম করে তোপ দেগেছেন তিনি। ফিরহাদ হাকিম আবারও এদিন জল্পনা বাড়িয়ে বলেছেন বিজেপি ছাড়ার তালিকা অনেক লম্বা।
তথাগত রায়ের বিতর্তিক মন্তব্য
তথাগত রায় সাত সকালে টুইটে লিখেছেন, 'আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। দলকে সজাগ রাখতে টুইট করতাম। বাহবা পাওয়ার জন্য টুইট করতাম না কামিনী কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছেন দলের নেতারা। পুরভোটের ফলের অপেক্ষায় থাকব।' পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তথাগত রায় বলেছেন সকলেই টুইটার পড়তে পারেন এখন। কাজেই টুইট পড়ে নেবেন। এর বাইরে তিনি একটি কথাও বলতে চাননি। এবং স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি একটি কথাও বলবেন না। যদিও তথাগত রায়ের এই টুইটের পর তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিেয়ছে। তাহলে কি বিজেপি ছাড়ছেন তিনি। আবার জল্পনা শুরু হয়েছে এবার কি তাহলে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন।
সুকান্তর প্রতিক্রিয়া
পুরভোটের ঠিক আগে বিজেপি নেতার এই ধরনের টুইট ঘিরে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য জানিয়েছেন, উঁনি সিনিয়র লিডার। কী লিখেছেন তা ওনার ব্যক্তিগত মত। ওনার বর্তমানে বড় কোনও পদে নেই। দলের সাধারণ সদস্য।' প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একটা সময়ে ত্রিপুরার রাজ্যপালের পদে ছিলেন তথাগত রায়। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যপাল পদ থেকে অবসর নিয়ে রাজ্যে ফিরে আসেন তিনি। ত্রিপুরায় থাকতেই বঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের শাসন নিয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন তিনি। কিন্তু একুশের ভোটের আগে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে দলে সামিল করা এবং টিকিট দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই প্রবল আপত্তি জানিয়ে এসেছিলেন তিনি।
কুণাল ঘোষের অভিযোহ
তথাগত রায়ের টুইটের পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ একের পর এক টুইট করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন বিজেপিতে আর্থিক লেনদেনের তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি বিজেপি নেতাদের তীব্র নিশানা করেছেন এই টুইটের পরে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তথাগতর এই টুইটে কয়েকদিন আগেই বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষাল সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলায় প্রতিবেদন লিখেছিলেন। সেখানে স্পষ্ট তিনি লিখেছিলেন বিজেপি অর্থ কেন্দ্রীক দল। সেখানে টিকিট পাওয়ার জন্য লেনদেন হয়। প্রবীর ঘোষালের এই প্রতিবেদনের পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।