সংসদে ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অবস্থানে কৃষকরা
প্রধানমন্ত্রী এদিন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে কৃষকদের কাথে অনুরোধ করেছিল গুরু নানকের জন্মদিবসে ক্ষেতে ফেরত যেতে। কৃষকদের একাংশকে সরকার বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও কৃষকদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংসদে যতক্ষণ না পর্যন্ত এব্যাপারে ঘোষণা করা হচ্ছে, কৃষকরা সিঙ্ঘু সীমান্ত ছেড়ে যাবেন না। সর্বভারতীয় কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নার মোল্লা জানিয়েছেন, সংসদে এব্যাপারে ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করবেন কৃষকরা। কেননা কৃষকদের কাছে এই তিন আইন ছিল মৃত্যু পরোয়ানার সমান।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবি জোরাল
এদিন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের আন্দোলন শুরু তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দিবাতি ছিল না। সমস্ত কৃষি পণ্য এবং সব কৃষকদের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টির দাবিও তারা করেছিলেন। এব্যাপারে সারা ভারত কৃষকসভার নেতা হান্নান মোল্লা বলেছেন, সরকারকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি দিতে জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
২৬ নভেম্বর ফের পথে নামবেন কৃষকরা
আন্দোলনরত কৃষকদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে ২৬ নভেম্বর আন্দোলন শুরুর বর্যপূর্তি উপলক্ষে আগে থেকেই পথে নামার কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছিল। এব্যাপারে এআইকেএস নেতা হান্নান মোল্লা বলেছেন, সেদিনের কর্মসূচি বজায় থাকছে, অর্থাৎ ওইদিন কৃষকরা ফের পথে নামবেন। ওইদিনই ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত করেছেন তিনি। আন্দোলনরত কৃষকরা এর আগে হুমকি দিয়েছিলেন, সরকার তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে নভেম্বরের শেষে শুরু হওয়া সংসদের অধিবেশনের প্রত্যেকদিন ট্র্যাক্ট র্যালি করে সংসদের দিকে যাবেন। প্রসঙ্গত ২০২০-র সেপ্টেম্বরে সংসদের তিন কৃষি আইন পাশ করানোর পরে ২৬ নভেম্বর থেকে সিঙ্ঘু সীমান্তে অবস্থান শুরু করেন কৃষকরা।
আলোচনার পরেই ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত
সারা ভারত কৃষক সভার মতোই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেই আন্দোলন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।