গতবার একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছে আইএসএল খেতাব। মুম্বইয়ের কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। এবার গতবার যেখানে শেষ করেছিল, সেখান থেকেই যেন শুরু করল হাবাসের দল। চোখে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এবার প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে নামলেন রয় কৃষ্ণ-বুমোসরা। প্রথমার্ধের শেষে মোহনবাগান ৩-১ গোলে এগিয়ে কেরালার বিরুদ্ধে।
এবার মোহনবাগানে প্রায় পুরনো টিম। মাত্র দুজন বিদেশি বদল হয়েছে ২০২১-২২-এর আইএসএলে। মোহনবাগানে এসেই এদিন বুমোস জোড়া গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছেন। রয় কৃষ্ণা করেছেন একটি গোল। প্রথমার্ধের শেষে মোহনবাগান ৩-১ গোল এগিয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। আরও অনেক গোলের সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। তা হেলায় হারান কৃষ্ণারা।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন হুমো বুমোস। খেলা শুরুর দুমিনিটেই বক্সের বাইকে ফ্রিকিক পায় মোহনবাগান। হুগো বুমোসের ফ্রিকিক ছিল গোলের মধ্যে, রয় কৃষ্ণার মাথা ছোঁয়াতে গেলে গোলকিপার লাইন মিস করেন। সরাসরি গোলে ঢুকে যায় বল। কৃষ্ণার মাথা না স্পর্শ করায় হুগোর নামেই যায় এই গোল। প্রথম ম্যাচে নেমেই সবুজ-মেরুন জার্সিতে গোল পেয়ে যান হুগো বুমোস।
এরপর এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কেরালা ব্লাস্টার্স পাল্টা আক্রমণ শানাতে শুরু করে। পিছিয়ে পড়েও তারা দমে যায়নি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। ২৪ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করে দেয় কেরালা। সাহাল আবদুল সামাদ গোল করে সমতা আনেন খেলায়। তবে তিন মিনিটের মধ্যেই মোহনবাগান ঝটিকা আক্রমণে গোল তুলে নিয়ে ফের এগিয়ে যায়।
এবার গোলকিপারকে কাটিয়ে বল দখলের জন্য এগিয়ে যেতেই পেনাল্টি বক্সে ফেলে দেওয়া হয় রয় কৃষ্ণাকে। পেনাল্টি দেন রেফারি। ২৭ মিনিটে ফের রয় কৃষ্ণা পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে দেন মোহনবাগানকে। ম্যাচের ৩৯ মিনিটের মাথায় ফের গোল করেন হুগো বুমোস। মোহনবাগান প্রথমা্রধেই এগিয়ে যান ৩-১ গোলে।
মোহনবাগান ৩-১ গোলে এগিয়ে জয়ের পথে পা বাড়িয়ে প্রথম ম্যাচেই। তবে বল দখলের লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে ছিল কেরালা। কিন্তু সুযোগ তৈরি ও সুযোগ কাজে লাগানোর দক্ষতায় কেরালাকে টেক্কা দিয়ে যায় মোহনবাগান। প্রথমার্ধে বল দখলে ৬৪ শতাংশ কেরালা আর মোহনবাগানের ৩৬ শতাংশ। আর গোলে শট উভয়েরই ৬-৬। কিন্তু গোল সংখ্যায় মোহনবাগান ৩ এবং কেরালা ব্লাস্টার্স ১।