প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে তামিলনাড়ু সহ একাধিক অঞ্চল। বন্যা বিধ্বস্ত বহু এলাকা। এমনকি শহরের বহু এলাকা জলের তলাতে রয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতে শুরু করেছে মৃত্যুর খবর। যেমন শুক্রবার সকালেই ৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।
তামিলনাড়ুর ভেলোর জেলার পারনামবেট এলাকাতে বাড়ি ভেঙে মর্মান্তিক এই মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারনে ভেঙে পড়ে বাড়ির ছাদ। যখন এই ঘটনা ঘটেছে সেই সময়ে গোটা পরিবারের সবাই গভীর ঘুমের মধ্যে ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। একই পরিবারের এভাবে নয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যাচ্ছে, মৃত ওঁই নয়জনের মধ্যে চার জন মহিলা, চারজন শিশু এবং একজন পুরুষ রয়েছে। তবে ঘটনায় বেশ কয়েকজন ওঁই বাড়ির মধ্যে আটকে পড়ে। তাঁদের উদ্ধারে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, উদ্ধারকারী দল এবং দমকলের একাধিক ইঞ্জিন।
অন্যদিকে, অপর একটি ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রায় ৩০ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমনটাই দাবি একাধিক সংবাদমাধ্যমের। অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপ্পা জেলাতে হঠাত নদীতে হপড়া বানে বহু মানুষ ভেসে গিয়েছে বলে খবর। নদী বাঁধের নির্মাণে অনিয়মের কারণে বাঁধ উপচে আচমকাই জল বইতে শুরু করে।
সেই জলের তোড়ে ভেসে নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যদিও ঘটনার পরেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
কার্তিক পূর্ণিমাকে সামনে রেখে স্থানীয় শিব মন্দিরে পুজো দিতে অসংখ্য ভক্ত জড়ো হন। রাজমপিত এলাকাতে হঠাত করেই প্রবল জলের স্রোত ভেসে আসে। আচমকাই জলের তোড়ে ভেসে যান বহু মানুষ। নন্দালুরুতে তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়। বাকিদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর একাধিক জেলায় লাল সতর্কতা জারি করার পর বৃহস্পতিবার আইএমডি কর্নাটক উপকূল ও উত্তরের প্রত্যন্ত কনার্টকের কিছু জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে ১৮ ও ১৯ নভেম্বরের জন্য। আইএমডি এর সঙ্গে এও জানিয়েছে যে পরবর্তী চারদিন ধরে এই রাজ্য বিপুল বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থাকবে। স্থানীয় আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরু সহ রাজ্যের দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ অংশগুলিতেও আইএমডি একটি কমলা সতর্কতা জারি করেছে।
কর্নাটকের মুখমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই রাজ্যের একাধিক অংশে অবিরত বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষি ও উদ্যান ফসলের ক্ষতি হওয়ার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, বৃষ্টি থামলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন
অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জাগান মোহান রেড্ডি দফায় দফায় বৈঠক করছেন আধিকারিকদের সঙ্গে। জেলা আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করা হচ্ছে। উদ্ধার কাজ সহ ত্রাণ সমস্ত ঠিক রাখতে এই বৈঠক করা হচ্ছে।