কমলা সতর্কতা জারি
আইএমডি বেঙ্গালুরুর আবহাওয়াবিদ এস আদিগা জানিয়েছেন, রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরু সহ রাজ্যের দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ অংশগুলিতেও আইএমডি একটি কমলা সতর্কতা জারি করেছে। বেঙ্গালুরুর ডিসি মঞ্জুনাথও জানান যে বেঙ্গালুরু শহরের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সব স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি, প্লে হোম শুক্রবার থেকে বন্ধ থাকবে। বুধবারই কর্নাটকের মুখমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই রাজ্যের একাধিক অংশে অবিরত বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষি ও উদ্যান ফসলের ক্ষতি হওয়ার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, বৃষ্টি থামলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বেঙ্গালুরুতে চলছে বৃষ্টি
বোম্মাই জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুতে মেরামতের কাজ নেওয়া নিয়ে বিভ্রান্তির সমাধান করা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে ঠিকাদার নিয়োজিত হয়েছে এটি তাঁরাই করবেন। যদি তাঁরা করতে অস্বীকার করেন তাহলে সরকারি এজেন্সি রাস্তা মেরামতির কাজ, রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকাদারদের নিরাপত্তা আমানত আটকে রাখা এই বিষয়টি নিজেদের অধীনে নিয়ে নেবে। প্রসঙ্গত, এই শহরে ১৫দিনের বেশি সময় ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং আবহাওয়াবিদরা রাজ্যের অনেক জায়গায় পরবর্তী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছেন।
তীর্থযাত্রী আটকে তিরুমালায়
অপরদিকে, দক্ষিণ ভারতের আরও একটি রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশেও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়েছে। বৃহস্পতিবারই তিরুপতির রাস্তা প্লাবিত হতে দেখা যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মন্দির তিরুমালায় অভূতপূর্ব জলস্তর দেখা যায়। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য মন্দির শহর তিরুপতি ও অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার একাধিক অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে এবং যার জন্য শতাধিক তীর্থযাত্রী আটকে পড়েন।
জলমগ্ন হয়ে পড়ে তিরুমালা
তিরুমালা পর্বতে অবস্থিত প্রধান মন্দির সংযোগকারী চার ‘মাথার রাস্তা' জলমগ্ন হয়ে যায়, এর সঙ্গে জল ঢুকে পড়ে বৈকুন্ঠ কিউ কমপ্লেক্সেও। জলমগ্ন হওয়ার কারণে তীর্থযাত্রীরা বাইরে যেতে না পারায় ভগবানের দর্শন কার্যত স্থগিত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, তিরুমালার জাপালি অঞ্জনেয়া স্বামীর মন্দির প্লাবিত হয়ে যায় এবং ভগবানের মূর্তি কার্যত ডুবে যায়। তবে পবিত্র পাহাড়ে আটকে থাকা তীর্থযাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থামের আধিকারিকরা। টিটিডির নির্বাহী অফিসার কে এস জওহর রেড্ডি পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অফিস কর্মীদের জন্য শুক্রবার ছুটি ঘোষণা করেছেন।
তিরুপতিতে বন্ধ রাস্তা–বিমানবন্দর
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিরুমালা পাহাড়ের দিকে যাওয়ার দুটি ঘাট রাস্তা বন্যা এবং ভূমিধসের পরে যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আলিপিরি থেকে মন্দিরে যাওয়ার পায়ে হাঁটার সিঁড়িও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেনিগুন্টার তিরুপতি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও জল ঢুকে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ বিমান অবতরণ বন্ধ রেখেছে।