গুরুনানকের জন্মদিবসে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা
গুরুনানকের জন্মদিবস। সেদিন সকালেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল এই তিন কৃষি আইন। এরপর নভেম্বর থেকে দিল্লির অদূতে টানা আন্দোলনে মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তর প্রদেশের কৃষকরা অবস্থান করছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেছেন, এই মাসের শেষের দিকে শুরু হওয়া সংসদের অধিবেশনে এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আন্দোলনরত কৃষকদের ক্ষেতে ফিরে যেতে বলেন। সামনের বছরের শুরুতে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক নহল।
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া
তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এবং সুখেন্দুশেখর রায়। এটা গণতন্ত্রের জয়। কৃষকদের আন্দোলনে ভয় পেয়েই এই সিদ্ধান্ত বলেছেন সৌগত রায়। সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, সম্পূর্ণ পরাস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই জয়কে কৃষকদের জয় বলে মন্তব্য করে তিনি ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সিপিএম-এর প্রতিক্রিয়া
সিপিএম-এর তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে, আন্দোলনরত কৃষকদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে। সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলনেই এই জয় এসেছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। কৃষকরা মোদী সরকারকে শিক্ষা দিয়েছে বলেও সিপিএম-এর তরফে মন্তব্য করা হয়েছে। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, এই ঘটনা ঐতিহাসিক। গায়ের জোরে আইন পাশ করানো হয়েছিল। কৃষকদের আন্দোলনের সামনে মোদী সরকার মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। এই ঘটনাকে মানুষের কাছে বিজেপি সরকারের হার স্বীকার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া
কংগ্রেসের তরফে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করা হয়েছে। দলের বর্ষীয়ান নেতা পি চিদাম্বরম বলেছেন, গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ করে যা অর্জন করা যায় না, আসন্ন নির্বাচনের ভয়েই তা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা নীতি পরিবর্তন কিংবা হৃদয়ের পরিবর্তনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নয়, ভয়ে প্ররোচিত হয়েই তা করা হয়েছে।