প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী
এদিন সকাল নটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুরুনানকের জন্মবার্ষিকীতে তিন কৃষি আইন ফেরত নেওয়ার কথা ঘোষণা করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনরত কৃষকদের ক্ষেতে ফিরে যেতে বলেন।
এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে বলেন, প্রত্যেক কৃষককেই তাঁর আন্তরিত অভিনন্দন, যাঁরা নিরলসভাবে লড়াই করেছেন এই তিনটি আইন প্রত্যাহারের জন্য। বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যও তিনি কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। বলেছেন এটা কৃষকদের জয়। পাশাপাশি এই আন্দোলন করতে গিয়ে যেসব কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের প্রতিও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতিনিধি পাঠিয়ে পাশে ছিলেন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কৃষকদের আন্দোলনের স্থানে না গেলেও, দলের সাংসদদের পাঠিয়ে ছিলেন। আন্দোলনের জায়গা থেকে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে, পাশে থাকার বার্তা গিয়েছিলেন। তিনটি আইনে মধ্যে রয়েছে ফার্মার্স প্রোডিস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রোমোশন অ্যান্ত ফেলিসিটেশন) অ্যাক্ট ২০২০, ফার্মার্স (এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন) এগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্যাসিওরেন্স অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসের অ্যাক্ট ২০২০, এসেন্সিয়াল কমোডিটিস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০২০।
তিন আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়েছিল রাজ্য বিধানসভায়
গতবছরের ২৬ নভেম্বর থেকে কৃষকরা আন্দোলন-অবস্থান শুরু করেছিলেন। সময়টা ছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে কিছু আগের মুহূর্ত। জানুয়ারিতে রাজ্য বিধানসভায় সরকারের তরফে এই তিন কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব আনা হয়েছিল। দাবি করা হয়েছিল আইন প্রত্যাহারের। বিধানসভাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তিন আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলেছিলেন। সেই সময় বিধানসভায় থাকা বাম ও কংগ্রেস সদস্যরা সেই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছিলেন। রাজ্যে থাকা এই ধরনের আইনও বাম-কংগ্রেস প্রত্যাহারের দাবি তুলেছিলেন।
সংসদের ভিতরেও আওয়াজ তুলেছিল তৃণমূল
সংসদের ভিততেও এই তিন আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সংসদের ভিতরে খাদ্যমন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রিপোর্ট পেশ করে বলেছিল সরকার এসেন্সিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট (অ্যামেন্ডমেন্ট) ২০২০ প্রয়োগ করার প্রস্তাব রেখেছিল। যদিও এই প্রস্তাব পেশের পরেই ওড়িশার কোরাপুটের কংগ্রেস সাংসদ সপ্তগিরি শঙ্কর উলাকা অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে চিঠি লিখে বলেছিলেন, তিনি কমিটির সর্বশেষ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না।