বিধানসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত হতে পারে মণিপুর, হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা, সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা
মণিপুরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা। গোয়েন্দারা এই নিয়ে সতর্ক করেছে সেনাবাহিনীকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মণিপুরের জঙ্গি সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মি ভোট চলাকালীন সেখানে নশকতার ছক কষছে বলে জানা গিয়েছে।কয়েকদিন আগে এই জঙ্গিদের চিনা বাহিনী মদত দিচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। তারপর থেকেই মণিপুরের এই জঙ্গি সংগঠনের উপর নজর রেখে চলেছে। তাতেই একের পর এক গোপন তথ্য হাতে আসতে শুরু করেছে গোয়েন্দাদের

গত মাস থেকেই মণিপুরে পিপল লিবারেশন আর্মির সক্রিয়তা বেড়েছে। মানায়মার সীমান্তে অসম রাইফেলসের এক কর্নেল এবং তাঁর স্ত্রী ও পুত্রকে হত্যা করেছিল এই জঙ্গিরা। একই সঙ্গে মারা হয়েছিল ৪ রাইফেল ম্যানকেও। এই নৃশংসহ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে গভীর চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করেছে গোয়েন্দারা। তাঁরা খবর পেয়েছেন চিনা ফৌজ এই জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে। লাদাখে কায়দা করতে না পেরে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করছে বেজিং। মায়ানমার সীমান্তে চিনা ফৌজের ক্যাম্প দেখা গিয়েছে। সেই ক্যাম্পে চিনা বাহিনী বড় বড় অফিসাররাও সেখানে রয়েছেন বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা। তার থেকেও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে জঙ্গিদের নাকি চিনা ফৌজ প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
এদকে আবার সামনেই বিধানসভা নির্বাচন মণিপুরে। তার আগে পিপলস লিবারেশন আর্মির হঠাৎ করে সক্রিয় হয়ে ওঠায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে সেখানকার পুলিশ প্রশাসন। পিপলস লিবারেশন আর্মি ছাড়াও নাগা পিপলস ফ্রন্ট সেখানে যৌথভাবে হামলা চালিয়েছিল। অসম রাইফেলসের কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠি এবং তাঁ স্ত্রী ও পুত্রকে নৃশংসভাবে হত্যা করে জঙ্গিরা। একই সঙ্গে আরও ৪ রাইফেল ম্যানকেও গুলি করে হত্যা করেছিল তারা। আইইডি বিস্ফোরণও ঘটানো হয়েছিল সেখানে।
নতুন করে মণিপুর সীমান্তে জঙ্গিদের সক্রিয়তার নেপথ্যে গোপণ ষড়যন্ত্র দেখছে ভারত। ভারত মায়ানমার সীমান্তে চিনা ফৌজের সন্দেহজনক গতিবিধি ভাবিেয় তুলেছে কাঁদের। অরুণাচল প্রদেশেও চিনা ফৌজ ইতিসক্রিয়তা শুরু করেছে। এদিকে আবার আজই উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে ভুটান সীমান্তে আস্ত চারটি গ্রাম বসিয়েফেলেছে চিন। সেই গ্রামগুলি আবার ডোকালা সীমান্তের খুব কাছে। ২০২০ সালে এই ডোকালা সীমান্তে চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার প্রবল সংঘাত তৈরি হয়েছিল। তাই নতুন করে ডোকালা সীমান্তের কাছে চিনা ফৌজের এই গতিবিধি ভাবিয়ে তুলেছে ভারতকে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দারা সতর্ক করেছে সেনা বাহিনীকে।