বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে CBSE এবং CISCE-র শিক্ষার্থীদের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে পরীক্ষা হবে অফলাইনেই৷
সিনিয়র অ্যাডভোকেট সঞ্জয় হেগডে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি উপস্থাপন করে বলেন যে কোভিড-১৯ মহামারী এখনও রয়েছে এবং ছাত্রছাত্রীরা একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা করছে এই সময় অফলাইন মোডে পরীক্ষা নেওয়া নিরাপদ নয়। এরপরই সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসজি তুষার মেহতা এর বিরোধিতা করে বলেন গত বছর কোন অফলাইন পরীক্ষা ছিল না। দশম শ্রেণির ১৪ লক্ষ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থী ছিল। তিনি আরও বলেছিলেন এক ক্লাসে ৪০ জন ছাত্রছাত্রীর পরিবর্তে ১২ জন শিক্ষার্থী একটি ক্লাসে বসবে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে। পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়িয়ে ১৫০০০ করা হয়েছে। তিন ঘণ্টার পরীক্ষার সময় এখন কমিয়ে ৯০ মিনিট করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে আমরা করোনার সুরক্ষার জন্য আরও ব্যবস্থা নিতে পারি। দু'পক্ষের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, পরীক্ষা চলছে। বাস্তববাদী হোন। এখন হঠাৎ করে পরীক্ষা অনলাইনে কীভাবে করা সম্ভব?
সিনিয়র আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে এরপর যুক্তি দিয়েছিলেন যে ভাষা, গণিত এবং বিজ্ঞানের মতো প্রধান গবেষণাধর্মী বিষয়গুলি এখন অল্পই খাতাকলম ব্যবহার করা হয়৷ ছাত্রদের মধ্যে যারা অনলাইন মডেল ব্যবহার করতে চান তাদের এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার অনুমতি দিন।
এর উত্তরে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, এখন পুরো সিস্টেম নতুন করে ইনস্টল করতে হবে। এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে এবং পরীক্ষার পুনর্নির্ধারণ করা যাবে না।' সুপ্রিম কোর্টের তরফে আরও বলা হয়েছে। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের অফলাইন থেকে অনলাইনে নিয়ে গেলে তারা নিরুৎসাহিত হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করবেন না। কর্তৃপক্ষকে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে দিন।