ঘৃণা কষ্ট দেয়', জানাল ফেসবুক, দিল্লি কোর্ট বলল 'মনে তো হচ্ছে না'

এবার দিল্লি আদালতে কড়া ভর্ৎসনার মুখে ফেসবুক। অভিযোগ অবশ্য আগেই উঠেছিল, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দিল্লি হিংসায় অনুঘটকের কাজ করেছিল ফেসবুক পোস্ট। এবার সেই নিয়েই দিল্লি আদালতে ল্যাজে গোবরে অবস্থা ফেসবুক আধিকারিকদের।

কী জানতে চাইল হাইকোর্ট?

সম্প্রতি ফেসবুকের অভিভাবক সংস্থার নাম পরিবর্তিত হয়েছে। সেই 'মেটা'র তরফ থেকেই লাইভ স্ট্রিম মারফৎ দিল্লি আদালতের শুনানিতে উপস্থিত হলেন আধিকারিকরা। আদালতে বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের সম্মুখীন হয় ফেসবুক। দিল্লি হিংসা সময়কালীন উস্কানিমূলক পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন করে আদালত, এমনকি জানতে চাওয়া হয় কর্মচারীদের ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কেও।

কি বলছে দিল্লির কমিটি?

দিল্লি বিধানসভার সৌভাতৃত্ব কমিটির প্রধান তথা আম আদমি পার্টি নেতা রাঘব চাড্ডা বলেন, ' ফেসবুক ইন্ডিয়া টিমের বিস্তারিত তথ্য দিন। উল্লেখ করুন সেখানে কতজন ধর্মীয় সংখ্যালঘু কাজ করেন। ফেসবুক ইন্ডিয়া টিমের সদস্যদের ধর্মীয় বিশ্বাস কী?' প্রত্যুত্তরে ফেসবুক ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর শিবনাথ ঠাকুরাল বলেন, 'আমরা ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কর্মচারীদের তথ্য রাখি না।এটা আমাদের নীতিবিরুদ্ধ।'

আরও যে সব তথ্য চাওয়া হল!

তবে এতেই ছাড় মেলেনি। পরবর্তী শুনানিতে ফেসবুক ইন্ডিয়ার কাছ থেকে সদস্যদের ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন রাঘব। শুধু তাই নয়, বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের, পাবলিক পলিসি টিমের সদস্যদের ধর্মীয় পরিচয়ও জানতে চেয়েছেন তাঁরা। একইসঙ্গে রায়টের একমাস আগে এবং দু'মাস বাদ অবধি সমস্ত ব্যবহারকারীদের অভিযোগ সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে।

উত্তরে কী বলল ফেসবুক?

হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক অবশ্য বলেছে, 'আমরা এই অনভিপ্রেত ঘটনা কোনওভাবেই চাই না। আমাদের বিনিয়োগকারীরা তা চাননা। আমরা ক্রমাগত হিংসার বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছি। শুধুমাত্র সুরক্ষা খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে এ বছর। আমরা এই সমস্যাটির ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছি। ঘৃণা ছড়ানো হলে আমি শান্তিতে ঘুমোতে অবধি পারি না।'

ফেসবুকের বক্তব্যে কী বলল কোর্ট?

তবে ফেসবুকের এই বক্তব্যে চিড়ে ভেজেনি। আপ নেতা পালটা বলেছেন, 'ঘৃণার ঘটনায় আপনাদের কষ্ট হয় কিনা, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। কারণ আপনারা ব্যবসা করছেন এবং নানা রকমের হিংসাত্মক তথা উস্কানিমূলক পোস্টে আপনাদের রেভিনিউ উপার্জন হয়।'

কী বলল সৌভাতৃত্ব কমিটি?

সৌভাতৃত্ব কমিটি ফেসবুককে প্রশ্ন করে, আদৌ ভারতের ক্ষেত্রে তারা ঘৃণামূলক পোস্টগুলিকে চিহ্নিত করতে পারে কিনা। উত্তরে স্পষ্ট কিছু না বলে শিবনাথ জানান, বক্তব্যের স্বাধীনতা এবং হিংসাত্মক বিবৃতির মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে হয় তাঁদের। তবে ভারতের ক্ষেত্রে জাতি উল্লেখকেও ঘৃণামূলক পোস্টের আওতায় আনা হয়েছে।

খবরের ডেইলি ডোজ, কলকাতা, বাংলা, দেশ-বিদেশ, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা, ব্যবসা, জ্যোতিষ - সব আপডেট দেখুন বাংলায়। ডাউনলোড Bengali Oneindia

More FACEBOOK News  

Read more about:
English summary
This time Facebook is facing severe slammed in the Delhi court. Allegations, however, surfaced earlier that a Facebook post had acted as a catalyst for the February 2020 Delhi riots. This time the Facebook officials are in a daze in the Delhi court.