পুরভোটের আগে মাস্টারস্ট্রোক মমতার, প্রতি পুরসভায় একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ
বিধানসভা ভোট সাঙ্গ হয়েছে। মিটেছে উপনির্বাচনের ঝক্কিও। এবার দুয়ারে কড়া নাড়ছে পুরভোট। তার আগে পুরসভরা কাজে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুরসভার প্রশাসকদের তুলোধনা করলেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দিলেন প্রতি পুরসভায় একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগের।

সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী মাসেই পুরসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা। তার আগে প্রশাসনিক বৈঠক থেক পুরসভার প্রশাসকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাঘ্যায় বলেন, যিনি ভালো কাজ করবেন না, আগামী দিনে তাঁকে নিয়ে ভাবতে হবে। কে কেমন কাজ করছেন, সবকিছু আমার নখদর্পণে রয়েছে। এবার সমস্ত রিপোর্ট তিনি চান। তিনি নজর রাখবেন, কোন কাউন্সিলর কেমন কাজ করেছেন।
পুরসভা তথা পুরসভার প্রশাসক থেকে কাউন্সিলর কেমন কাজ করছেন, তার সামগ্রিক রিপোর্ট পেতেই তিনি একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করছেন। প্রতি পুরসভায় একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, পর্যবেক্ষকরা পুর এলাকায় ঘুরে ঘুরে কাজের খতিয়ান সংগ্রহ করবেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলে, তাঁরা রিপোর্ট তৈরি করবেন। কে কেমন কাজ করেছে, তার বিস্তারিত নিয়ে রিপোর্ট দেবেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের প্রয়োজনে পাশে রাজনৈতিক নেতাদের পাওয়া যায় না বলে ভুরি ভুরি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। এরকম হলে তলবে না। রাজনীতির লোকেদের সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মানুষের পাশে থাকতে হবে। কড়া নির্দেশে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, নাগরিক পরিষেবাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না। পুরসভা এলাকায় কোনও প্রশাসকও চোখ-কান খোলা রাখছেন না বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্যোেশপাধ্যায়। তিনি বলেন, কোথায় কী সমস্যা এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মর্মে প্রশাসকদের প্রশ্ন করেন, কেন নিজের এলাকায় ঘুরে দেখছেন না। ফোন করলে কেন রাজনৈতিক নেতাদের পাওয়া যায় না। এবার মানুষের জন্য কাজ করুন। বিধায়ক ও সাংসদদেরও তিনি বার্তা দেন পুর প্রশাসকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে। তিনি বলেন, সবার কাছে একটাই অগ্রাধিকার থাকুক, তা হল নাগরিক পরিষেবা।
এদিন বিজেপির টিকিটে জেতা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও ছিলেন মমতার প্রশাসনিক বৈঠকে। তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, বিশ্বজিৎ তোর মধ্যপ্রদেশ বাড়ছে কেন? বিশ্বজিৎ দাস উত্তর দেন, দিদি খেলা ছেড়ে দিয়েছি তাই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খেলা ছেড়ে দিলি কেন, খেলাধূলা ছাড়া ছাবে না। এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান মমতা।