শীত পড়তেই উদ্বেগ বাড়ছে
ঠান্ডা পড়তেই বাড়ছে সীমান্তে। বিশেষ করে লাদাখ সহ বিস্তির্ন অঞ্চল বরফে ঢেকে যায়। এই অবস্থায় সীমান্তে রশদ পৌঁছানোটা যথেষ্ট কষ্টের হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এই সমস্ত জায়গা ছেড়ে সেনাকে স্বাভাবিক অঞ্চলে নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু যেভাবে ঘাড়ের কাছে চিন নিঃশ্বাস ফেলছে তাতে উদ্বেগে বেড়েছে ভারতের। ফলে কোনও ভাবে সেনা সরানো সম্ভব নয়। বরং ঠান্ডা আবহাওয়া, জমে যাওয়া বরফএরে মধ্যেই যাতে লজিস্টিক সাপোর্ট সীমান্তে পৌঁছানো যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিল সেনা
চিন সীমান্ত ঘেষে নামল 'হারকিউলিস'
একেবারে যুদ্ধকালীন মহড়া শুরু করে দিল ভারতীয় সেনা। সোমবার লাদাখ সীমান্ত ঘেষে বিশাল মহড়া সারল ভারতীয় সেনা এবং ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স। একেবারে সীমান্ত ঘেষে নামল সি-১৭ গ্লোব মাস্টার হারকিউলিস। সেনাবাহিনীকে লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে থাকা গর্বের বিমান এটি। মুহূর্তে একটি জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে কামান সহ গোলাবারুদ পৌঁছে দিতে সক্ষম এই বিমান। সেই বিমানকে এই মহড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও IL-76, An-32-এর মতো এয়ারক্রাফটকেও ব্যবহার করা হয় এই মহড়াতে।
সাপ্লাই চেন স্বাভাবিক রাখতে এই মহড়া
ঠান্ডা পড়লেই সেনার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এই অবস্থায় যাতে সীমান্তে গোলাবারুদ সহ অন্যান্য লজিস্টিক সাপ্লাই ঠিক রাখা যায় সেদিকে তাকিয়ে এই মহড়া সারা হয়। এছাড়াও প্রচন্ড ঠান্ডায় সেনাকে এবং নতুন করে মোতায়েন করা হয় এই সমস্ত বিষয়ও মহড়াতে করা হয়। সেনাকে এয়ার লিফট করা হয়। সব মিলিয়ে একেবারে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসাবে এই মহড়া সেনা এবং বায়ুসেনার তরফে করা হয়েছে। চিন যেখানে সেনা বাড়াচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে এই মহড়া যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হিসাবেই মনে করা হচ্ছে।
একাধিক বৈঠক বৃথা গিয়েছে
গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে একাধিক ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে। সেনা পর্যায়ে চিন এবং ভারতের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়। কিন্তু কোনও বৈঠকেই কাজ হয়নি। বরং ভারতের একাধিক এলাকাতে ঢুকে বসে আছে লালফৌজ। শুধু তাই নয়, লাগাতার উস্কানি চলছে সীমান্তের ওপার থেকে।
সীমান্ত-যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে চিন।
ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত-যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে চিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটরের চাঞ্চল্যকর দাবি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে জোরদার। রিপাবলিকার মার্কিন সেনেটর জন কারনাইন বলেন, প্রতিবেশী দেশের জন্য বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে চিন। এই কমিউনিস্ট দেশ শুধু ভারতের জন্য নয়, অন্য প্রতিবেশী দেশের জন্যও বিপজ্জনক। চিনের সঙ্গে যে সমস্ত দেশে সীমান্ত ভাগ করেছে, তাদের জন্য ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে। এমনটাই আশঙ্কার কথা শোনান তিনি।