কিছুদিন আগেই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গ্লাসগোয় বৈঠকে বসেছিলেন বিশ্বের তাবড় নেতৃত্বরা। যাতে কোনওভাবেই বিশ্ব উষ্ণায়ন আর লাগামছাড়া ভাবে না বাড়ে, তার জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। যথারীতি বৈঠকে দেখা হয়েছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এবার সেই বৈঠকের পরই বরিস বললেন, ২০৩০ এর মধ্যে দূষণবিহীন অর্থনীতির হাল ফেরাতে বেশ কিছু অসাধারণ পরিকল্পনা করেছে ভারত।
গ্লাসগোর বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে একাধিক উদ্যোগ, পরিকল্পনার কথা শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও। সেই সমস্ত উদ্যোগ যে একেবারেই ঠুনকো নয়, তা স্বীকার করেন বরিস। তিনি বলেন, ' ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে শক্তি বিভাগ, অর্থনীতির সংস্কারের জন্য খুবই ভাল পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের৷ যে প্রতিজ্ঞার কথা বলেছে ভারত, তার সবটাই সত্যি।'
গ্লাসগোর বৈঠকে ২০৭০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে নেট জিরো এমিশনের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা বিশ্বের সামনে জানিয়েছিলেন, এই লক্ষ্যপূরণের জন্য লড়ছে ভারত৷ ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে অজীবাশ্ম শক্তির ক্ষমতা ৫০০ GWতে নামিয়ে আনা। মোট শক্তির চাহিদার ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে পূণর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার করা৷ ২০৩০ এর মধ্যে ১ বিলিয়ন টন কার্বন এমিশন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভারত৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ' একটা সময় সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় জীবনের নির্দেশ বহন করত। ততদিন আমাদের পৃথিবী শান্ত, সুস্থ ছিল। কিন্তু এরপর যখন থেকে আমরা সময়ের আগে ছুটতে শুরু করলাম, প্রকৃতির সামঞ্জস্য ব্যহত হল। এখন পূর্বের হাল ফেরাতে চাইলেও উপায় সেই সূর্য। সৌরশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে, সূর্যের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলতে হবে।'