মণিপুরে জঙ্গি হামলার নেপথে চিনা বাহিনীর হাত দেখছে গোেয়ন্দারা। মণিপুরের চুরাচাঁদপুর জেলায় শনিবার হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই হামলায় অসম রাইফেলসের কর্নেল, তাঁর স্ত্রী-পুত্র এবং চারজন রাইফেল ম্যানের মৃত্যু হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল পিপল লিবারেশন আর্মি এবং মণিপুর নাগা পিপল ফ্রন্টে। কিন্তু এটাকে নিছক জঙ্গি হামলা মেনে নিতে নারাজ গোয়েন্দারা। তাঁরা এই হামলার নেপথ্যে চিনা বাহিনীর হাত দেখতে পাচ্ছেন।
গোেয়ন্দারা দাবি করছেন এই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে িচনা বাহিনী। মায়ানমারে চিনা বাহিনীর শিবির থেকে জঙ্গিদের অস্ত্রও সরবরাহ করা হয়ে থাকতে পারে এমনই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। গোয়েন্দারা ড্রোন মারফত যে ভিডিও তুলেছে তাতে দেখা গিয়েছে মায়ানমান সীমান্তে শিবির করেছে চিনা বাহিনী। মণিপুর সীমান্তের ওপারে চিনা বাহিনী ক্যাম্প করেছে। সেই শিবিরে চিনা সেনার শীর্ষ কমান্জারও রয়েছেন বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
গত কয়েক মাস ধরেই তিব্বত এবং তাইওয়ানে একের পর এক সেনা চিন বিরোধী লবি তৈরি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে প্রবল ভাবে অসন্তুষ্ট বেজিং। সেকারণেই উত্তর পূর্বের রাজ্যে ভারত বিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলিতে মদত দিতে শুরু করেছে বেজিং এমনই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েক মাস অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে বিশেষ ভাবে তৎপর হতে শুরু করেছে বেজিং। কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা পেন্টাগন দাবি করেছে অরুণাচলপ্রদেশের বিতর্কিত জায়গায় চিন আস্ত একটি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে। এই নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে কূটনৈতিক মহলে। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের রাজনৈতিক মহলও।
লাদাখ সীমান্তেও সক্রিয়তা বাড়িয়েছে চিনা বাহিনী। সেখানে সীমান্তে প্রহরারত জওয়ানদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তাঁদের জন্য শীত মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। উচ্চতমএলাকায় পাহারা দেওয়ার জন্য বিশেষ অক্সিেজন থেরাপির ব্যবস্থা করেছে বেজিং। এছাড়াও বিশেষ পোশাক পাঠানো হয়েছে সীমান্তের জওয়ানদের জন্য। তাঁদের সবরকম সুযোগ সুবিধা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে জিনপিং সরকার। এদিকে আবার অরুণাচল প্রদেশেও তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কোনও গ্রাম তৈরি হয়নি অরুণাচলপ্রদেশের বিতর্কিত জায়গায়।