বাইডেনের দেশে রাষ্ট্রদূত, লাদেনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা মৌলবাদীকে পাঠাচ্ছে ইমরান খানের সরকার
পাকিস্তান (Pakistan) সন্ত্রাসবাদের সমর্থক (Supporter of terror), তাদের মদতদাতা তা কারও অজানা নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে ফিরে যাওয়া আমেরিকায় (USA) রাষ্ট্রদূতের পদে পাকিস্তান এবার বেছে নিল সন্ত্রাসবাদের সমর্থক মাসুদ খানকে (Masood Khan)। এছাড়াও মাসুদ খানের অপর এক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টও বটে।

বিপজ্জনক মৌলবাদীকে আমেরিকায় পাঠাচ্ছে পাকিস্তান
মাসুদ খানকে পাকিস্তান আমেরিকায় রাষ্ট্রদূতের পদে নিয়োগ করেছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মাসুদ খান সন্ত্রাসবাদের সমর্থক এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমের বয়ান অনুযায়ী, মাসুদ খান কট্টর ইসলামপন্থী এবং প্রাচ্যে জেহাদিদের সঙ্গে করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাশাপাশি মাসুদ খানকে বিপজ্জনক মৌলবাদী বলেও বর্ণনা করা হয়েছে আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তরফে।
আমেরিকার সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বর্তমান শাসক যে সারা বিশ্বে ইসলামপন্থীদের সমর্থন করে চলেছে, এই নিয়োগ সেটাই প্রমাণ করে দিচ্ছে।

বুরহান ওয়ানিকে নিয়ে বার্তা
২০১৬-তে কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে প্রাণ গিয়েছিল হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার বুরহান ওয়ানির। এবছরের জুলাইয়ে সেই ঘটনার পঞ্চম বর্ষপূর্তিতে তৎকালীন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন মাসুদ খান। তিনি বলেছিলেন, বুরহান ওয়ানির জন্য তারা শোকাহত, তিনি হৃদয়ে বেঁচে আছেন। একটি কারণের জন্য তিনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের মদতদাতা
শুধু হিজবুল মুজাহিদিনই নয়, পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযএাগ রয়েছে মাসুদ খানের। ২০১৯-এ মাসুদ খান ইসলামাবাদে কাশ্মীর নিয়ে সংহতি জানাতে হওয়া সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও আমেরিকা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, মাসুদ খান হরকত উল মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা ফজলুর রহমান খলিলের সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে এই সংগঠনকে আমেরিকা জঙ্গি সংগঠনের তকমা দিয়েছিল।
এছাড়াও মাসুদ খান দক্ষিণ এশিয়ার জামাত-ই-ইসলামির সমর্থক। তালিবানদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

যোগাযোগ ছিল লাদেনের সঙ্গেও
আমেরিকার ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে নথিভুক্ত তথ্য অনুযায়ী, খলিলের সঙ্গে আলকায়দার সম্পর্ক ছিল। মৃত্যুর আগে ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল মাসুদ খানের। এছাড়াও খলিল ইউবিএল ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফ্রন্টের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ সালে ওই সংগঠন আমেরিকার ওপরে আঘাত হানার ফতোয়া জারি করেছিল। পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদের সমর্থক তা রাষ্ট্রসংঘেও তুলে ধরেছে ভারত। কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালাতে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ করেছিল ভারত।