ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটালেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। এবার ইনস্টাপোস্টে তিনি সরাসরি মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন হয় গান্ধীজিকে সমর্থন করুন না হলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে সমর্থন করুন। কে দেশনায়ক সেটা আগে ঠিক করুন। কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাধীনতা আন্দলন নিয়ে যাকে বলে বোমা ফাটিয়েছিলেন তিনি। কঙ্গনা দাবি করেছিলেন দেশ সত্যিকারে স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে। ১৯৪৭ সালে যে স্বাধীনতা ভারত পেয়েছিল সেটা ভিক্ষের স্বাধীনতা ছিল।
মোদী ভক্ত কঙ্গনা। বিজেপির কট্টর সমর্থক। সুশান্ত সিং রাজপুতের সময় থেকেই আরও প্রকট হতে শুরু করেছিল সেই সমর্থন। একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে শিবসেনার রোষে পড়েছিলেন তিনি। তারপরেই কেন্দ্রের তরফে জেড ক্যাটাগোরির নিরাপত্তা দেওয়া হয় তাঁকে। তারপর থেকেই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ কঙ্গনা রানাওয়াত। পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার পরের দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে রীতিমত ঝড় তুলেছিলেন তিনি। কঙ্গনা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ভারত সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৪ সালেই প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতাকে ভিক্ষায় পাওয়া স্বাধীনতা বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
এই নিয়ে একের পর এক আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল কঙ্গনা রানাওয়াতকে। মহাত্মা গান্ধী, মঙ্গল পাণ্ডে, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাইয়ের স্বাধীনতা সংগ্রমাকে অসম্মান করেছেন বলিউড অভিনেত্রী এমনই অভিযোগ উঠতে শুরু করে। তাঁর পদ্মশ্রী পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছিল। শেষে ময়দানে নামে অভিনেত্রী নিজেই। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, মহাত্মা গান্ধীর সংগ্রামের কারণেই যদি ভারত স্বাধীনতা পেয়ে থাকে তাহলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে কেন আলাদা পথ বেছে নিতে হল। কেন দেশ ভাগের যন্ত্রণা সহ্য করতে হলে গোটা দেশেকে। এটা যদি ভুল প্রমাণ করতে পারেন কেউ তাহলে তিনি স্বেচ্ছায় পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
তারপরেই আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বোমা ফাটিয়েছেন অভিনেত্রী। ইনস্টাপোস্টে লিখেছেন,মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনই ভারতকে ভিক্ষার স্বাধীনতা দিয়েছে। যদি তা না হল তাহলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং ভগত সিংকে কেন আলাদা পথ বেছে নিতে হল। পুরনো খবরের একগুদ্ধ হেডলাইন শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, সেখান নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়েছিলেন গান্ধীজি, জওহরলাল নেহরু এবং মহম্মদ আলি জিন্না। কাজেই হয়নি গান্ধীজির অনুগামী হোন না হলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের অনুগামী হোন। যেকোনও একটি মতকে সমর্থন করুন সাফ জানিয়েছেন কঙ্গনা।