পার্টি নির্ভর রাজনীতি
উত্তর প্রদেশে রাজনৈিতক পরিকাঠামো যেভাবে চলে তা রাজনৈতিক দলের ভূমিকা বড়। সেখানে প্রার্থীদের জয় নির্ভর করে রাজনৈতিক দলের উপরে। প্রার্থীর মুখ বড় কথা নয়। সেকারণেই কোন কেন্দ্রে কোন রাজনৈতিক দলের পাল্লা ভারী তার উপর নির্ভর করে ফলাফল। সেকারণেই উত্তর প্রদেশে ভোটের আগে বিধায়করাও দলবদল করতে শুরু করেন। সেটা এবারও ঘটতে শুরু করে দিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির দাপট যে জায়গায় বাড়ছে সেখানে শুরু হয়ে গিয়েছে দলবদল। বিজেপির বিধায়কও যোগ দিচ্ছেন সমাজবাদী পার্টিতে। তার আরও একটি বড় কারণ কাজ করে নতুন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে। যাঁরা প্রথম বার প্রার্থী হচ্ছেন তাঁদের কাছেও রাজনৈতিক দল বড় গুরুত্ব পূর্ণ হয়। নিরাপদ জয়ের কারণে পাল্লা ভারী রাজনৈিতক দলের উপরেই নজর দেন তাঁরা।
নতুন প্রার্থীদের জয় বাড়ছে
পুরনো নেতাদের েথকে নতুন মুখের উপর ভরসা বেশি করছেন ভোটাররা। ডেটা অ্যানালিসিসে প্রকাশ্যে এসেছে সেই তথ্য। তাতে দেখা গিয়েছে ২০০২ সালে ৬৬ শতাংশ নতুন প্রার্থী জয় পেয়েছিলেন উত্তর প্রদেশে। ২০১৭ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৭৮ শতাংশ। অর্থাৎ ৭৮ শতাংশ প্রার্থী জয় পেয়েছেন। ২০০৭ সালে ৬৯ শতাংশ এবং ২০১২ সালে ৭১ শতাংশ নতুন প্রার্থী জয় পেয়েছেন ভোটে। নতুন প্রার্থীদের উপরেই আস্থা রাখছে মানুষ। গত কয়েক বছরের ভোটে এমনই ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে। দ্বিতীয়বার একই কেন্দ্রে প্রার্থীদের জয়ের সংখ্যা কমছে। সেকারণেই পার্টি এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে।
দলবদলের পরে বিপুল ভোট
গত ২ বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে আরও একটি ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে সেটা হলে যে প্রার্থী হারতে পারবেন বলে আশঙ্কা করছিলেন তিনি দলবদল করার পরেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। কারণ সেই পার্টির জনপ্রিয়তা সেখানে বেশি হয়ে গিয়েছে। মানুষ পার্টি দেখে ভোট দিচ্ছে প্রার্থী দেখে নয়। ২০০৭ সালে এক বিধায়ক বিএসপিতে যোগ দেওয়ার পর বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। একই ভােব ২০১৭ সালে ভোটের আগে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এমন দলবদলুরাই টিকিট পেয়ে বিপুল ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উত্তর প্রদেশের এই ফরমুলাকেই হয়তো বাংলায় কাজে লাগাতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেটা ডাঁহা ফেল করেছিল। যাকে বলে বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছিল বিজেপির কাছে। দলবদলুদের সিংহভাগই বাংলার বিধানসভা ভোটে বিপুল ভোটে হেরেছিলেন। ৭০টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বিজেপিকে।
রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তিই মুখ্য
উত্তর প্রদেশের ভোটে বরাবরই রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তিই মূল বিষয় হয়ে উঠেছিল। তাই ভোটের আগে একের পর এক প্রকল্পের উদ্বোধন করে ভোট ব্যাঙ্ক সুপরক্ষিত রাখার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মোদী সরকার। কুশীনগরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন চলছে। পূর্ব উত্তর প্রদেশের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে মোদী সরকার।