আবারও চর্চায় হার্দিক পাণ্ডিয়া কয়েক কোটি টাকার মূল্যের ঘড়ি! সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আইপিএলের দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আগে কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। তখন থেকেই সেই ঘড়ির দাম নিয়ে জল্পনা চলছিল। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে টি ২০ বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফেরার পর হার্দিকের ৫ কোটি টাকা দামের ঘড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে!
(ছবি- হার্দিক পাণ্ডিয়ার ইনস্টাগ্রাম)
মুম্বই বিমানবন্দরে কাস্টমস বিভাগ হার্দিকের ৫ কোটি টাকার ঘড়ি বাজেয়াপ্ত করে বলে বিভিন্ন মহলে যে তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে তাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন হার্দিক নিজেই। উল্লেখ্য, আইপিএল ও টি ২০ বিশ্বকাপের পর সেই ঘড়ি নিয়ে হার্দিক এই প্রথম দেশে ফিরেছেন। হার্দিকের দাবি, তিনি নিজেই শুল্ক বিভাগের আধিকারিকদের কাছে গিয়ে দুবাই থেকে কেনা জিনিসপত্রের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। এগুলির শুল্ক নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে। এ জন্য তাঁকে যে পরিমাণ শুল্ক দিতে হবে তা তিনি দিয়ে দেবেন বলেও আধিকারিকদের জানিয়েছেন হার্দিক।
— hardik pandya (@hardikpandya7) November 16, 2021
হার্দিক ফিটনেস কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে খেলানো টি ২০ বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজের দল থেকেও বাদ পড়েছেন হার্দিক। তাঁর বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে।
এই পরিস্থিতিতে ঘড়ি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে হার্দিক টুইটে লিখেছেন, গতকাল ভোরে মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছাই। লাগেজ সংগ্রহের পর নিজেই বিমানবন্দরের কাস্টমস কাউন্টারে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেটাকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমি দুবাই থেকে কী কী জিনিস কিনেছি তার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে বলেছি প্রয়োজনীয় শুল্ক দিতেও আমি প্রস্তুত। এই জিনিসগুলি কেনার নথি কাস্টমস কর্তারা চেয়েছেন, তা জমা দিয়েছি। শুল্ক নির্ধারিত হলে তা আমি দেব বলেও জানিয়েছি। আর ঘড়িটির দাম দেড় কোটির কাছাকাছি, পাঁচ কোটির নয়। আমি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সমস্ত আইন-কানুন মেনেই চলি, সরকারের সব এজেন্সিকে সম্মান করি। আমাকেও যেমন মুম্বই বিমানবন্দরে শুল্ক কর্তারা সহায়তা করেছেন, আমিও সহায়তার জন্য প্রস্তুত। আরও তথ্য লাগলে আমি সেটাও জানাব। কিন্তু আইনকে বুড়ো আঙুল আমি দেখাচ্ছি বলে যে অভিযোগ উঠছে তার ভিত্তি নেই।
হার্দিক এ কথা জানানোর পরও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হচ্ছেন। কমেন্টে কেউ লিখেছেন, ১০ টাকার ম্যাগি খাওয়া ক্রিকেটার এখন দেড় কোটির ঘড়ি পরছেন, তবে ফিটনেসে তিনি মনোনিবেশ করলে ভারতের ভালো হতো। কেউ আবার লিখেছেন ২০০ বা ৫০০ টাকার ঘড়িতেও তো একই সময় দেয়, তাহলে কোটি টাকা মূল্যের ঘড়ি পরার দরকার কী? বহুমূল্যের ঘড়ি না কিনে হার্দিক সেই অর্থে দুঃস্থদের অন্নদানের ব্যবস্থা করতে পারতেন বলেও কেউ মন্তব্য করেছেন। কারও কথায়, হার্দিককে বাদ দেওয়া সঠিক কাজই হয়েছে।