নির্বাচন কমিশনে জমা হিসেব
রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচন কমিশনে খরচের হিসেব দাখিল করেছে। সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল খরচ করেছে ১৫৪,২৮, ৮৯, ৯১৪ টাকা। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির খরচ করেছে ১৫১,১৮,৬৬,৫২১ টাকা। হিসেব কষলে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল বিজেপির তুলনায় প্রায় ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বেশি খরচ করেছে।
খরচ লুকানো হয়েছে, অভিযোগ উভয়েরই
তবে রাজ্যের রাজনীতিতে যুযুধান উভয়পক্ষেরই দাবি, খরচ লুকানো হয়েছে। এক্ষেত্রে তৃণমূল ও বিজেপির দাবি একই। তারা বলছে, কমিশনের কাছে ভোটের প্রচারের খরচের যে হিসেব দেওয়া হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি খরচ করা হয়েছে।
অন্য বিরোধীদের মতো রাজ্যের শাসকদল গত বিধানসভা নির্বাচনে অভিযোগ তুলেছিল, টাকা ছড়িয়ে বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। চাটার্ড প্লেনে করে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে দলবদল করানোই হোক কিংবা দলে দলে টলিউড শিল্পীদের দলে নিয়ে প্রার্থী করা সবই করেছিল বিজেপি। যা নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়ও প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপির পেশ করা খতিয়ানকে কটাক্ষ করে তৃণমূল বলেছে, ভিন রাজ্য থেকে শয়ে শয়ে বিজেপির নেতারা এসেঝিলেন। বিমান, হেলিকপ্টার, গাড়ি, হোটেল ভাড়া করা হয়েছিল বিজেপির নেতাদের জন্য। ফলে বিজেপি যে হিসেব দিয়েছে, তা সামান্য অংশ বলেই দাবি তৃণমূলের। অন্যদিকে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, শুধু কলকাতায় থাকা তৃণমূলের সব ফ্লেক্স হিসেব করলেই খরচের একটা হিসেব পাওয়া যায়।
৫ রাজ্যের মধ্যে বিজেপির সব থেকে বেশি খরচ বাংলায়
গত মার্চ-এপ্রিলে অসম, বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। রাজ্যনৈতিক দলগুলির তরফে সেই নির্বাচনের খরচের পরিমাণ জমা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে বিজেপি এই পাঁচ রাজ্যে খরচ করেছে ২৫২,০২,৭১,৭৫৩ টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৫১ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বাংলায়। প্রতিবেশী অসমে খরচ করা হয়েছে ৪৩ কোটি আর কেরলে খরচ করা হয়েছে ২৯ কোটি টাকা।
অনেক পিছিয়ে সিপিএম-কংগ্রেস
নির্বাচন কমিশনে পেশ করা কংগ্রেসের হিসেব অনুযায়ী, তারা ৫ রাজ্যের নির্বাচনে খরচ করেছে ৮৪, ৯৩, ৬৯, ৯৮৬ টাকা। আর সিপিএম খরচ করেছে ৩২, ৬৪, ৭৯, ১১২ টাকা। তবে সিপিএম-এর মূল লড়াই ছিল কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে। সেই লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গে কোনও আসন না পেলেও, কেরলে তারা ফের একবার ক্ষমতা দখল করেছে।