করোনা ভাইরাসে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় পতন ভারতে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ শতাংশ কমল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। আক্রান্ত হয়েছেন ১১,৮৫০ জন। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ১২ হাজারের কিছু উপরে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ভাবিয়ে তুলেছে সকলকে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ৫৫৫ জন।
করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ কমলেও দৈনিক মৃতের সংখ্যা কমছে না ভারতে। গতকালের চেয়ে অনেকটা কমেছে করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ। ১২ হাজার থেকে নেমে ১১ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ। কিন্তু দৈনিক মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। গতকালের চেয়ে অনেকটাই কমেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা। যদিও অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। ২৭৪ দিনে সর্বনিম্ন অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা। ১,৩৬.৩০৮ হয়ে গিয়েছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা।
এদিকে করোনা টিকাকরণে একের পর এক সাফল্যে পেয়ে চলেছে ভারত। গতকালই প্রকাশ্যে এসেছে ল্যান্সেটের রিপোর্ট তাতে বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের সক্রিয়তা ৭৭.৮ শতাংশ রয়েছে। কয়েকদিন আগেই কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। একই সঙ্গে ৯৬টি দেশভারতের করোনা ভাইরাসের টিকার মান্যতা দিয়েছে। এতে সুবিধা পাবেন অসংখ্যা ভারতীয়। এতদিন কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন না মেলায় বিদেশে কাজে ফিরতে পারছিলেন না অনেকে। অনেক ছাত্রছাত্রী বাইরে পড়াশোনা করতে েযতে পারছিলেন না। এবার সেই সুবিধা পাবেন তাঁরা।
এদিকে চিন এবং ইউরোপের একাধিক দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বেজিংয়ের একাধিক শপিং মল, স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে। ইউরোপের দেশগুলিতেও সেই তৎপরতা শুরু হয়েছে। টিকাকরণে অনিহার করাণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইতিমধ্যেই সকলকে করোনা টিকার বুস্টারডোজ নেওয়ার জনয অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও ইউরোপের অধিকাংশ মানুষ করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে অনিহা প্রকাশ করছেন। তবে ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে অনেকটাই। কেরল, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখন অনেকটাই কম।
এদিকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হাত ধরেই দেশে করোনা ভাইরাসের থার্ড ওয়েভ আসবে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। তাই চলতি বছরের মধ্যেই দেশে করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছে মোদী সরকার। সেকারণে কয়েকদিন আগে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে করোনা টিকাকরণ নিয়ে বৈঠক করেছেন তিনি। সেখানে কোন কোন জেলায় টিকাকরণ কম হয়েছে কা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সব জেলায় প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে িটকাকরণের তোরজোর শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।